বিনিয়োগের পরিমাণ
যদি কেউ ছোট আকারে পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে তাঁকে প্রায় ৫০,০০০ টাকা থেকে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে। আবার কেউ যদি পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা (Poultry Farming Business) বড় আকারে শুরু করতে চান তাহলে তাঁকে প্রায় ১.৫ লাখ টাকা থেকে ৩.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে। পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা শুরু করার জন্য যে কোনও ফিনান্সিয়াল সংস্থার থেকে লোন পাওয়া যেতে পারে।
advertisement
সরকার দেবে ৩৫ শতাংশ সাবসিডি
সরকারের পক্ষ থেকে পোলট্রি ফার্মের ব্যবসার জন্য বিজনেস লোনের ক্ষেত্রে প্রায় ২৫ শতাংশ সাবসিডি দেওয়া হয়। SC, ST শ্রেণীর জন্য এই সাবসিডির পরিমাণ প্রায় ৩৫ শতাংশ। পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। বাকি টাকা লোন হিসাবে পাওয়া যায় এবং এর কিছুটা আবার সরকার সাবসিডি হিসাবে দেয়।
ব্যবসার প্ল্যান
পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা শুরু করার জন্য এই ব্যবসা সম্বন্ধে ভালো করে জানা দরকার। এর জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেনিং নেওয়া খুবই জরুরি। ১৫০০ মুরগির টার্গেট নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি মুরগির বাচ্চা কিনতে হবে। বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন রোগের জন্য কিছু মুরগি মারা যেতে পারে। এর জন্য প্রথম থেকেই সঠিক প্ল্যান করে এগোতে হবে। সঠিক প্ল্যান করে এগোতে পারলে পোলট্রি ফার্মের ব্যবসায় ভালো আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
মুরগির ডিমের থেকেও হবে আয়
বর্তমানে পুরো দেশ জুড়েই বেড়েছে মুরগির ডিমের দাম। অক্টোবরের শুরুতেই প্রতিটি ডিম ৭ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। দেশ জুড়ে সবসময়ই ডিমের চাহিদা থাকে। এর ফলে ডিমের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুরগিও দামি হতে শুরু করেছে। মুরগির ডিম থেকেও একটা ভালো আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
মুরগি ক্রয়ের বাজেট ৫০ হাজার টাকা
পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা শুরু করার জন্য ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকার বাজেট ধরে এগোতে হবে। এর পর সেগুলো লালনপালনের খরচ আলাদা।
২০ সপ্তাহের খরচ ৩-৪ লাখ টাকা
একটানা ২০ সপ্তাহ মুরগিকে খাওয়ানোর খরচ পরবে প্রায় ১ থেকে ১.৫ লাখ টাকা। ২০ সপ্তাহ পর থেকে মুরগি ডিম দেওয়া শুরু করে। ২০ সপ্তাহের পর মুরগির খাওয়ার খরচ হবে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন-রাশিফল ২ ডিসেম্বর: দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
বছরে ১৪ লাখ টাকার বেশি আয়
১৫০০ মুরগির ক্ষেত্রে এক একটি মুরগি বছরে ২৯০টি করে ডিম দিলে, এক বছরে প্রায় ৪,৩৫,০০০ ডিম পাওয়া যাবে। এর থেকে কিছু পরিমাণে নষ্ট হওয়ার পরেও যদি ৪ লাখ ডিম ভালো থাকে তাহলে প্রতিটি ডিম কম করে ৬ টাকায় বিক্রি করলেও ভালো আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।