বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই মাটির ভাঁড়ে চায়ের চুমুকে খুঁজে পান এক অন্যরকম নস্টালজিয়া। আগে এই ভাঁড় তৈরি হত হাতে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখন মেশিনের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে আধুনিক মাটির ভাঁড়। সুজিত বাবু জানিয়েছেন, এই মেশিনে শুধু ভাঁড় নয়, থালা, দইয়ের ভাঁড়, গ্লাস ইত্যাদিও তৈরি করা যায়। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে মাটির ভাঁড়েরই।
advertisement
আরও পড়ুন: তেল মাখানো পিতলের ঘটি নিয়ে কাড়াকাড়ি! নলাহাটির মুঘল আমলের আগের কালীপুজো, রীতিনীতি অবাক করবে আপনাকেও
আগে চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত যোগান ছিল না, কিন্তু এখন মেশিনে তৈরির ফলে যেকোনও সময় ভাঁড় পাওয়া সম্ভব। মাটির ভাঁড়ে চা পান যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তেমনি এটি পরিবেশবান্ধবও। সুজিত বাবুর মতে, এটা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। সুজিত ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “ধীরে ধীরে প্লাস্টিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে , তাই মাটির জিনিসের চাহিদা এখন বাড়ছে। আমার তৈরি মাটির ভাঁড় এখন বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। এটা সত্যিই খুবই ভাল একটা ব্যবসা।”
ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজন কেবল মাটির ভাঁড় তৈরির মেশিন ও কিছু পরিমাণ মাটি। স্থানীয় এলাকা থেকেই মাটি সংগ্রহ করা যায়, যার খরচও খুব কম। তিনি জানান, এক ট্রাক্টর মাটি কিনতে খরচ হয় মাত্র ৮০০ টাকা, আর সেই মাটি থেকে তৈরি করা যায় প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার ভাঁড়। প্রতিটি ভাঁড়ের বাজারদর ৭০ পয়সা থেকে দেড় টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ ৮০০ টাকার মাটি থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: এখানে গেলে দেখতে পাবেন দেবীর শিরা, ধমনী সহ কঙ্কালসার রূপ! পুজো হয় উগ্র চামুন্ডা মতে, দেখে আসুন একবার
বর্তমানে বাজারে মাটির ভাঁড়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং আগামী দিনেও তা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তিনি, কারণ এখন সাধারণ মানুষ প্লাস্টিক বা কাগজের কাপে চা না খেয়ে মাটির ভাঁড়েই চা পান করতে পছন্দ করছেন। তাই এই ব্যবসা যেমন লাভজনক, তেমনি পরিবেশবান্ধবও।
সুজিত বাবু আরও জানান, কেউ যদি এই মেশিন কিনে ব্যবসা শুরু করতে চান, তবে তাঁকে ১০ দিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া শেখানো হয়। মেশিন কেনা ও ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা যেতে পারে ৯৭৭৫৭৩৩৬৪৯ নম্বরে। সবমিলিয়ে, আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি মাটির ভাঁড় এখন স্বনির্ভরতার এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে গ্রামবাংলার যুবকদের।