এর সঙ্গে, বেবি কর্ন পাওয়ার জন্য ভুট্টার চাষও করা হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলার নয়টি ব্লকে এই ভুট্টা চাষ করা হয় । উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ কৃষি দফতর থেকে সমস্ত চাষিদের বিনামূল্যে তিন রকম ভুট্টা বীজ প্রদান করা হয়েছে। উন্নত ভাল ফলনের জন্য এই তিন জাতের ভুট্টা বীজ আপনি বেছে নিতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম হল-এলজি:এই জাত রবি মৌসুমে চাষের উপযোগী। এর উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ ফুট। গাছের কেন্দ্রীয় অংশ থেকে ভুট্টা আসতে শুরু করে। বীজ বপনের ৭৫ থেকে ৮০ দিন পর ফসল কাটা যায়। প্রতি একর জমিতে ১৬ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন।
advertisement
জিকেমিএইচ: এই জাতটি রবি মৌসুমের পাশাপাশি খরিফ মৌসুমেও জন্মে। এর পাতা পাতলা এবং শক্ত। এই ফসল ১৭০ দিনের মধ্যে পাকার জন্য প্রস্তুত। প্রতি একর জমিতে ৩৬ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন।
ডি এম আর এইচ: এই জাতটি রবি এবং খরিফ মৌসুমে চাষ করা হয়। এই জাতের গাছপালা শক্তিশালী। অতএব, উদ্ভিদ পতনের সমস্যা কম। রবি মৌসুমে প্রতি একর জমিতে ৩২ থেকে ৩৬ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন হয়।
ভুট্টা চাষের জন্য চার-পাঁচটি চাষ ও মই দিয়ে জমি ঝুরঝুরে ও সমতল করে নিতে হবে। জমি তৈরির সময় বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় টন ভাল পচা জৈব সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। জৈব সারের সঙ্গে তিনশো গ্রাম করে অ্যাজোস্পাইরিলাম ও ফসফোব্যাক্টেরিয়া অথবা অ্যাজোফস ৬০০ গ্রাম মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।এক বিঘা জমির জন্য পুষ্ট ও সম মানের ৩-৩.৫ কেজি বীজ প্রয়োজন। এভাবেই খুব সহজে আপনি ভুট্টা চাষ করতে পারবেন।