পান গাছের পাতা উৎপন্ন ফসল। এই পাতা দেশীয় ও বিদেশী বাজার দখল করে কৃষককে অর্থনৈতিক লাভবান করে। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা বর্তমান সময় পান কৃষকদের লাভের মুখ দেখালেও হাওড়া জেলার কৃষকরা ক্রমশ পান চাষ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন লাভ না পেয়ে।
advertisement
এক সময় গ্রামীণ হাওড়া পান চাষের জন্য বিখ্যাত, তখন প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার পান বরজ ছিল। সেই সংখ্যা কমতে কমতে প্রায় অর্ধেক। পান চাষ কম হওয়ার প্রধান কারণ বাজারদর কমে যাওয়া এবং ফসল উৎপাদন সমস্যা। এ বিষয়ে উদ্যান পালন বিশেষজ্ঞ জানান, স্যালমনেলা জীবাণু মূলত জল থেকে পান পাতায় আসে। বদ্ধ জলাশয়ের জল পান চাষে ব্যবহৃত করলে অথবা পান পাতা বদ্ধ জলাশয়ে ধোয়া হলে, সমস্যা হতে পারে। হাওড়া জেলার পান দেশের পাশাপাশি বিদেশে রফতানি। কিন্তু বিদেশের বাজারে পান পাতায় স্যালমনেলা’র নমুনা পাওয়া গেলে হাওড়ায় উৎপাদিত পান বিদেশে যাওয়া বন্ধ হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন জেলা উদ্যান পালন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডঃ রাহুল চক্রবর্তী, বদ্ধ জলাশয়ের জল ব্যবহার না করে নলকূপের জল ব্যবহার করলে স্যালমনেলা সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়াও পান পাতায় কোলেটোট্রিকাম এবং ফাইটোপথেরা ছত্রাকের কারণে পাতা দাগ বা পচে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে কৃষক কোন রোগের কী সমস্যা। তা সঠিক বুঝতে না পেরে বাজার থেকে ভুল ওষুধ বা কীটনাশক সংগ্রহ করে ব্যবহার করে সমাধান পায় না কৃষক, তাতে খরচ বেশি হয় চাষের ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জানান দু’টি সমস্যার ক্ষেত্রে অনেকটা একই লক্ষণ ফলে প্রতিকারের সমস্যা। তবে এর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। কোলেটোট্রিকাম সমস্যার ক্ষেত্রে পাতার মাঝখানে কালো দাগ তৈরি হয়। তার চারপাশ দিয়ে হলুদ একটি স্পট দেখা যায়। অন্যদিকে ফাইটোপথেরা সমস্যা পান পাতার ধার দিয়ে সৃষ্টি হয় এবং কালো দাগের পার্শ্ববর্তীতে হলুদ রেখা বা স্পট দেখা যায় না।
ডগা পচা এবং গাছের গোড়া পচা রোগ হয়। এই রোগগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য ছত্রাকনাশক যেমন রিডোমিল গোল্ড বা কম্পেনিয়ন স্প্রে করতে হবে এবং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এমন খুব সাধারণ কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব দিলে পান চাষ আরও লাভের হতে পারে বলেই জানান জেলা উদ্যান পালন বিভাগ বিশেষজ্ঞ ডঃ রাহুল চক্রবর্তী।





