এই জায়গায় এসেই অতএব একটা মোক্ষম প্রশ্ন ওঠে- ব্যাপারটা যখন উত্তরাধিকারী সংক্রান্ত, তখন কেউ কি আর না ভেবে-চিন্তে নমিনি বাছবেন? নিশ্চয়ই এক্ষেত্রে ঘরের লোককে বাদ দিয়ে পাড়ার লোককে নমিনি করা হবে না?
আরও পড়ুন: FD-মিউচুয়াল ফান্ডে নয়; বরং বিনিয়োগ করুন এই গাছের উপর! একটু ধৈর্য রাখলেই হাতে আসবে কোটি কোটি টাকা!
advertisement
তা না হলেও বিষয়-আশয় যেমন জটিলতার জন্ম দেয়, এক্ষেত্রেও তার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বইকি। ধরা যাক, কেউ তাঁর অ্যাকাউন্টের নমিনি করলেন মা বা বাবাকে। তাঁদের অবর্তমানে নমিনি বদলাতে হবেই। আবার, এমনও হতে পারে যে নমিনির পরিচয়পত্র তৈরি হয়নি, সেক্ষেত্রে আবার তা পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এজন্যই ভাল করে ভেবে-চিন্তে নমিনি বাছাই করা দরকার। কেন, তা বুঝে নেওয়া যাক সংক্ষেপে।
আরও পড়ুন: NSC থেকে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা; বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ৬ সরকারি স্কিম!
নমিনি কী: এমন ব্যক্তিকেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নমিনি করা হয় যার উপর অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের বিশ্বাস রয়েছে। সেটা পরিবারের সদস্য হতে পারে, যেমন পিতামাতা, ভাইবোন, পত্নী, সন্তান বা অন্য কেউ। একই নামের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আলাদা আলাদা নমিনি করা যায়। একই ব্যাঙ্কে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট (এফডি), সেভিংস এবং রেকারিং ডিপোজিট (আরডি) অ্যাকাউন্টগুলির মতো আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্টের জন্যও আলাদা আলাদা নমিনি হতে পারে।
নমিনি একই পরিবারের হওয়া কি বাধ্যতামূলক: যদি নমিনি একই পরিবারের না হয়? সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সম্পত্তির অভিভাবক হিসাবে গণ্য করা হবে। ফলে, যদি কোনও আইনসম্মত উত্তরাধিকারী থাকেন, তাঁকে সেই সম্পত্তি লাভ করার জন্য নমিনিকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে, আদালতে নিজের উত্তরাধিকারের যথাযথ দলিল দাখিল করতে হবে। যা সময়সাপেক্ষ তো বটেই, পাশাপাশি সুরাহা হবে কি না তাও বলা কঠিন।