দক্ষিণ দিনাজপুরের মাটিতেও যে বিদেশী নামকরা আম ফলানো যায় তা প্রমাণ করেছেন বীরেন্দ্রবাবু। তাঁর ছাদ বাগানে থাইল্যান্ডের নামডকুমাই, জাপানের মিয়াজাকি, থাইল্যান্ডের কাঠিমান, সাউথ ফ্লোরিডার আমেরিকান রেড পাল্মার এবং থাইল্যান্ডের বেনানা ম্যাংগো সঙ্গে ভারতীয় প্রজাতির আম্রপালি ও অরণিকা ফলেছে প্রচুর।
আরও পড়ুন: আগামিকাল শুক্রবার ব্যাঙ্ক কি বন্ধ থাকবে ? জেনে নিন
advertisement
এবিষয়ে বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, “২০২০ সালে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করে সেই সব গাছের চারা নিয়ে আসেন। তারপরে আর পেছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। সঠিক যত্ন ও নিয়ম জানা থাকলেই বিদেশী প্রজাতির ফল এখানে চাষ করা সম্ভব। তার সঙ্গে প্রায় ৪০ রকমের গাছ তিনি পালন করছেন বাগানে। বিভিন্ন ঋতুতে তাঁর ছাদবাগান ও বাড়ির উঠোন বিদেশি চেরি, জামরুল, আম, মালটা, কমলালেবুতে ভরে ওঠে। তিনি চান সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে এমন ফলের চাষ যেন বাড়িতে করতে পারেন।”
আরও পড়ুন: PPF, NSC এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার কি কমতে চলেছে? জেনে নিন
বীরেন্দ্রনাথবাবু শিক্ষকতায় অবসর নেওয়ার পরে তিনি নিতান্তই শখের বসে ও সময় কাটাতে উদ্যান পালনের দিকে ঝোঁকেন। প্রথমে তিনি হাতের কাছে পাওয়া বিভিন্ন ফুল ও ফলের চাষ শুরু করেন। পরে তাঁর মাথায় অন্য ভূত চাপে। তিনি সিদ্ধান্ত নেন বিদেশি প্রজাতির আম বাড়িতে ফলাবেন।
কিন্তু বালুরঘাটের প্রতিকূল জলবায়ুতে জাপান, থাইল্যান্ড বা আমেরিকার আম ফলানো সম্ভব না বলে তাঁকে অনেকেই জানান। কিন্তু সেই সব কথায় কান না দিয়ে চালিয়ে যান তাঁর বাগান বিলাশ। প্রতিকূল জলবায়ুতে আমগুলো চাষে কষ্ট হয়েছে। তবে চারা থেকে আমের ফলন পর্যন্ত তাদের পালন করতে তাঁর মনে হয়েছে সন্তান মানুষ করছেন। যদি কেউ ব্যবসায়িকভাবে এই আম ফলন করতে চায় তাহলে তাদেরকেও তিনি কৌশল শিখিয়ে দিতে পারেন অনায়াসে।
সুস্মিতা গোস্বামী