বাড়িতে সামান্য চাষের জায়গায় পরীক্ষা মূলকভাবে দুটি মরশুমে এই ফুলের চাষ করে আর্থিক লাভের দিশা দেখছেন তিনি। শুধু তাই নয় অন্যদের দিচ্ছেন বিকল্প আয়ের দিশা। বাড়ির মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ডেসিমেল জায়গাতে এই ফুলের চাষ করে বেশ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ পেয়েছেন এই কৃষক। চলতি মরশুমে বেশ অনেকগুলো গাছের চারা লাগিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পিপিএফে ‘১৫+৫’ ফর্মুলা জানেন? প্রতি মাসে পাবেন প্রায় ৪০ হাজার টাকা পাবেন !
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ওড়িশা সীমান্ত এলাকার সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকায় সবজি চাষ হয়। জেলার অধিকাংশ মার্কেটে এই এলাকার সবজি রফতানি করে কৃষকেরা। তবে এবার সবজি নয়, সারা বছর গাঁদা ফুলের চাষ করে মালামাল হচ্ছেন এই কৃষক। বাবা এবং ছেলে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষযোগ্য জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করছেন। সামান্য পরিচর্যায় সপ্তাহে বেশ কয়েকবার এই ফুল তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। যার থেকে মিলছে হাজার হাজার টাকা। সবজি কিংবা ধান চাষের তুলনায় অধিক লাভ মিলেছে গাঁদা ফুলের চাষ করে। উর্বর মাটিতে ফলনও মিলছে বেশ। সামান্য কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে লাগিয়েছেন বেশ কয়েক হাজার চারাগাছ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের কুঞ্জ বাঘড়া এলাকার কৃষক মৃত্যুঞ্জয় কাপড়ি এবং তার ছেলে দিপেন্দু দুজন মিলে বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে চাষ করেছেন গাঁদা ফুলের। জানা গিয়েছে, ছয় থেকে সাত ডেসিমেল জায়গায় তিনি চাষ করছেন গাঁদা ফুলের। সার, ওষুধ এবং চারা গাছ বাবদ এই জায়গায় খরচ হয় মোট আট হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে একটা মরশুমে লাভ হয় প্রায় দশ হাজার টাকা। এই ফুল বিক্রি হয় স্থানীয় দাঁতন বাজারে। পরবর্তীতে বৃহৎ আকারে এই ফুল অন্যত্র বিক্রির পরিকল্পনা করছেন কৃষক। বর্ষার সময় মূলত শ্রাবণ মাসের দিকে তিনি চারা গাছ লাগিয়েছেন।
এক মাস পর থেকেই মিলছে ফুল। ফের তিনি শীতের সময়ে গাঁদা ফুলের চারা লাগিয়েছেন। এই কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে রয়েছে বেশ কয়েক হাজার চারা। স্বাভাবিকভাবে পরিচর্যা করলে সারা বছর ফুল পাওয়া যায় গাঁদা ফুলের চাষ করে। যার বাজারেও চাহিদা রয়েছে বেশ। স্বাভাবিকভাবে নদী তীরবর্তী এলাকায় শুধু ধান কিংবা সবজি ফলিয়ে নয়, ফুল ফুটিয়েও আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতা এবং লাভের দিশা দেখাচ্ছেন এই কৃষক। বর্তমান প্রজন্মকে দিচ্ছেন ফুল চাষের দিশা।
রঞ্জন চন্দ