আরও পড়ুন: সামান্য ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন আধুনিক হাসপাতাল, মন্দিরবাজারে বড় চমক
সুন্দরবন মানেই জঙ্গলে গিয়ে মধু সংগ্রহ আর মাছ ধরা নয়। এখানে বহু মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অন্যান্য জায়গার মত এখানেও চাষের জমিতে ধীরে ধীরে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়েছে। এর ফলে মাটির গুণগত মানের ক্ষতি হয়েছে, বিপদ বেড়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ এলাকার। সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতেই রাসায়নিকের ব্যবহার কমিয়ে জৈব চাষের উপর জোর দিচ্ছে সরকার।
advertisement
কৃষকদের জৈব চাষে এগিয়ে আসার জন্য সচেতনতা মূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি কৃষকদের নিয়ে একটি সভা আয়োজিত হয় জয়নগরে। সুস্থায়ী কৃষি পরিবারের উদ্যোগে জয়নগর শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে জৈব চাষে ফসল উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরন ও বিপণনের সুযোগ এবং প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক এই আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, সাংসদ দোলা সেন,পরিবেশবিদ অমলেন্দু মিশ্র, সমাজসেবী অরূপ রক্ষিত, উদয়ভানু রায়, নেচার এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ সোসাইটির অজন্তা দে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কৃষেন্দু আচার্য সহ আরও অনেকে। এই সভায় সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লক থেকে শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, কৃষকদের উচিৎ জৈব চাষের দিকে নজর দেওয়া। জৈব চাষে ফলন বাড়ে। জৈব চাষের ফসল খেয়ে শরীর খারাপও হয় না। জমিকে ঠিক রাখতে জৈব চাষের উপর গুরুত্ব দেন তিনি। পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত কীভাবে করা যাবে তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ মতামত রাখেন তিনি। কৃষকরাও তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
সুমন সাহা