আরও পড়ুন: চা শ্রমিকের সন্তান অভিনেতা! বিরাট চমক
এই ব্যবসা এগ্রিকালচারাল বিজনেস বা কৃষিকাজ সম্বন্ধীয় কারবার। কুল এখন শুধুমাত্র পরিবারের খাওয়ার জন্য নয়, বরং ভিন রাজ্য এমনকি বিদেশে তার বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে। ফলে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ করে মোটা টাকা রোজগারের পথ খুলে গিয়েছে। রাজ্যের অনেক জেলায় বহু যুবককে স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাচ্ছে এই কুল চাষ।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার বাদুড়িয়া, বসিরহাট এলাকায় একাধিক প্রজাতির কুল চাষ হয়। বসিরহাটের বাদুড়িয়ার আটলিয়া, বদর, বুরুজ সহ বিভিন্ন এলাকায় কুল চাষে জোর দিয়েছেন চাষিরা। ধান বা সবজি চাষের মত জমিতে নেমে মাটি কাদা ঘেঁটে কুলের চাষ করতে হয় না। সঠিক পরিকল্পনা করে সময় নিয়ে ঠিক করে গাছ লাগালেই ভর্তি ভর্তি ফল চলতে থাকে। এখানকার স্থানীয়রা মূলত দেশি কুল ও হাইব্রিড কুল গাছের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে কুল চাষ করছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বর্তমানে বাদুড়িয়া, বসিরহাটের কয়েকটি গ্রামের প্রায় কয়েক শো মানুষ জীবিকা অর্জনে জন্য এই কুল চাষ বেছে নিয়েছেন। কুল চাষের জন্য গাছে কলম বাধার ১৪ দিন পরে নতুন গাছ ফুটে ওঠে। আর সেই গাছ জমিতে বসিয়ে শুরু হয় চাষ। একটি গাছ দুই থেকে তিন ফুট বেড়ে ওঠে ছয় মাসের মধ্যেই। তারপরই ফলন শুরু হয়ে যায়। একটি গাছ থেকে প্রায় এক কুইন্টাল কুল পাওয়া যায়। এই এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে হয় কুল চাষ। এই কুল এখন পাড়ি দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যেও। যদিও অনান্য বছরের তুলনায় এবছর কুলের ফলন বেশি। তবে তা ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন চাষিরা।
জুলফিকার মোল্লা