নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আগে যেখানে ৭,৫০০ টাকার নিচে হোটেল ভাড়ার উপর ১২ শতাংশ জিএসটি দিতে হত, সেখানে সেপ্টেম্বর থেকে সেই হার নামছে মাত্র ৫ শতাংশে। ফলে পর্যটকদের হাতে থাকবে বাড়তি অর্থ, বাজেট নিয়ে চিন্তাও কমবে। যাঁরা এখন পর্যন্ত খরচের ভয়ে পাহাড়ি ট্রিপ পিছিয়ে দিচ্ছিলেন, তাঁরাও সহজেই ঘুরতে আসতে পারবেন। ১,০০০ টাকার কম ভাড়ার রুমের ক্ষেত্রে আগের মতোই কোনও জিএসটি লাগবে না।
advertisement
পর্যটন ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এতে একদিকে যেমন পর্যটকদের সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে একই খরচে আরও জায়গা ঘুরে দেখার সুযোগ মিলবে। এতে গোটা উত্তরবঙ্গ ও পাহাড়ি অঞ্চলের অর্থনীতিও লাভবান হবে বলে তাঁদের আশা। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে হোটেল ও হোমস্টে মালিকদের সিদ্ধান্তের উপর। কারণ, কেউ যদি ১২ শতাংশ জিএসটি বজায় রাখেন তবে ইনপুট ট্যাক্স সুবিধা পাবেন, আর কেউ যদি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনেন তবে সেই সুবিধা হারাবেন। অর্থাৎ, পর্যটকরা আদৌ কতটা সাশ্রয় করবেন তা ২২ সেপ্টেম্বর নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার পরই স্পষ্ট হবে।
এ প্রসঙ্গে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “এখনও সরকারের তরফে বিস্তারিত নির্দেশিকা হাতে আসেনি। তবে যদি সাড়ে সাত হাজার টাকার নিচে সব রুমের ভাড়ায় জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমে আসে, তাহলে পর্যটকরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনই ব্যবসাও বাড়বে।”
অতএব পুজোর মরশুমে দার্জিলিং ও উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে পর্যটকদের ঢল নামা তো নিত্যদিনের ছবি। তবে এবার কম খরচে থাকার সুযোগ পেলে সেই ভিড় যে বহুগুণ বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। নতুন জিএসটি নীতির ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের পাহাড়ি ট্রিপ হবে আরও সাশ্রয়ী। যদিও শেষ পর্যন্ত লাভবান হবেন কি না পর্যটকেরা, তা নির্ভর করছে হোটেল ও হোমস্টে মালিকদের সিদ্ধান্তের উপর। তবুও আশাবাদী সকলেই, এই পদক্ষেপ পর্যটন শিল্পকে নতুন গতি দেবে, আর পাহাড়ি অঞ্চলের অর্থনীতিকে করবে আরও চাঙ্গা।