Sikkim Tourism: পুজোর আগেই খুলল উত্তর সিকিম! লাচুং,ইয়ুমথাং, জিরো পয়েন্ট তো আছেই, ঘুরে আসুন ডোকালাম! কারা যাওয়ার জন্য পাবেন ছাড়? রইল বিস্তারিত

*সিকিম, ঋত্বিক ভট্টাচার্য: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে মে মাসের শেষ থেকে উত্তর সিকিমে পর্যটন কার্যত বন্ধ ছিল। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে খুলছে মঙ্গান জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলি। আজ পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের মিনি কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সিএস রাও এই তথ্য জানান। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পিসিই–সহ সচিব নীরজ প্রসাদ, সচিব হোন্দালা গ্যালৎসেন এবং অতিরিক্ত পরিচালক তেনজিং গেলায় ভুটিয়া।

*সিএস রাও জানান, সীমান্ত সড়ক সংস্থার (BRO) সহযোগিতায় সঙ্কলাং সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে জংগু অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ পুনরায় চালু হয়েছে। এই নতুন রুট ব্যবহারে পর্যটকদের চুংথাং পৌঁছতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় বাঁচবে। আগামিকাল সকাল থেকে উত্তর সিকিমে পর্যটন কার্যক্রম শুরু হবে এবং অনলাইনে পারমিট ইস্যু করা হচ্ছে। আপাতত লাচুং, ইয়ুমথাং ভ্যালি ও জিরো পয়েন্ট ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে লাচেন আগামী পর্যটন মরসুমে খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।

*তিনি আরও জানান, পর্যটকদের দুপুর ১'টার মধ্যে সঙ্কলাং ব্রিজ চেকপোস্ট অতিক্রম করতে হবে এবং ফেরার সময় দুপুর ২'টোর মধ্যে তুং ব্রিজ পার হতে হবে। পারমিট অনলাইনের পাশাপাশি মঙ্গান ও আপাতত চুংথাং এসডিএম অফিস থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।

*উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ‘ব্যাটলফিল্ড ট্যুরিজম’-এর ঘোষণা করেন। সিকিমে এই উদ্যোগের অন্তর্গত তিনটি স্থান নাথুলা, চোলা ও ডোকলাম। মুখ্য সচিব, বিভিন্ন দফতরের সচিব, সেনা ও BRO কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে চোলা ও ডোকলাম দেশীয় পর্যটকদের জন্য খোলা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ২৫টি গাড়ির সীমাবদ্ধতা থাকবে।

*সিএস রাও আরও বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরে কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কিঞ্জারাপু রামমোহন নাইডুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চল মন্ত্রীপরিষদের বেসামরিক বিমান পরিবহণ সম্মেলন। সেখানে পাকিয়ং বিমানবন্দরের কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলে মন্ত্রী উন্নত এয়ার কানেক্টিভিটির আশ্বাস দেন। সরকার বোয়িং বা এয়ারবাস বিমানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছে, যার জন্য পাকিয়ং বিমানবন্দরের রানওয়ে ১.৭৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ২.৭৫ কিমি করতে হবে। এ ছাড়াও তুং-নাগা সড়ক আগামী দু’মাসের মধ্যে তৈরি হবে।

*এ প্রসঙ্গে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, "পুজোর আগে উত্তর সিকিম খুলে যাওয়ায় পর্যটন শিল্পে স্বস্তি এসেছে। স্থানীয় পর্যটন শিল্পে যেমন তার প্রভাব পড়বে, তেমনই বাংলার পর্যটন ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। দুই রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায়ীরাই এতে লাভবান হবেন। পাশাপাশি, পর্যটকেরাও পুজোর মুখে একটি সুখকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন।"

*পুজোর আগে উত্তর সিকিমের পর্যটন দরজা খোলায় নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল স্থানীয় ব্যবসা ও আতিথেয়তা শিল্প। বিধি–নিষেধ থাকলেও এই সুযোগে ভ্রমণপিপাসুরা এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করবেন বলে আশা। পর্যটন শিল্পের প্রতিনিধিরা মনে করছেন, ফলে শুধু সিকিম নয়, বাংলার পর্যটন ব্যবসায়ও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।