আরও পড়ুন: SIP: এসআইপি না কি থোক টাকা! বিনিয়োগের জন্য কোনটা ভালো?
সম্প্রতি একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ গ্রাহকদের পাঠিয়ে বলা হচ্ছে, ই-কেওয়াইসি তথ্য আপলোড করে এই নম্বরে যোগাযোগ করুন অন্যথা আপনার ফোন নম্বর বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারা গ্রাহককে একটি ফোন নম্বর প্রদান করে। গ্রাহক ওই নম্বরে ফোন করলেই তাদের ‘Team Viewer’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। আই অ্যাপ ডাউনলোড করা মাত্র প্রতারকদের কাছে গ্রাহকের ফোনের নিয়ন্ত্রণ চলে যায়। ইউপিআই পিন থেকে শুরু করে ফোনে থাকা সমস্ত তথ্যের অ্যাক্সেস চলে যায় জালিয়াতদের হাতে।
advertisement
ব্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডারদের তরফে প্রতিনিয়ত সতর্কতা বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও গ্রাহকরা এই ফাঁদে পা দেয়। নিচে eKYC প্রতারণার কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) তাদের গ্রাহকদের ই-কেওয়াইসি জালিয়াতির বিসয়ে সতর্ক করে। টেলিকম সংস্থাটি একটি ই-মেইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাইবার স্ক্যাম এবং জালিয়াতির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সতর্ক করে।
আরও পড়ুন: 7th Pay Commission: হোলির আগে ১০,০০০ টাকা উপহার দিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার
মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) টেলিকম সংস্থা তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, “Jio কোম্পানিতে আমাদের কাছে আপনার নিরাপত্তা সবসময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি আমাদের কাছে সাইবার জালিয়াতির কিছু অভিযোগ এসেছে যেখানে প্রতারকরা নিজেদের জিও কোম্পানির কর্মচারি দাবি করে গ্রাহকদের আধার কার্ড নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য এবং ওটিপি হাতিয়ে নেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জালিয়াতরা ই-কেওয়াসি আপডেটের ছলনায় গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে।”
২০২১ সালের জুলাই মাসে দেশের অন্যতম টেলিকম সংস্থা ভোডাফোন আইডিয়া (Vi) তাদের গ্রাহকদের সতর্কতা বার্তা দিয়ে জানায়, প্রতারকরা কোম্পানির কর্মচারী হয়ে KYC আপডেটের ছলনায় গোপন তথ্য চাইতে পারে।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) ওয়েবসাইট অনুযায়ী এই ধরনের প্রতারণাকে বলা হয় ভিসিং (Vishing)। এই জাতীয় জালিয়াতির ক্ষেত্রে প্রতারকরা নিজেদের ব্যাঙ্ক/নন-ব্যাঙ্কিং অর্থনৈতিক অর্থনৈতিক সংস্থার কর্মচারী দাবি গ্রাহকদের ফোন করে। কেওয়াসি আপডেট, সিম কার্ড/অ্যাকাউন্ট আনব্লক বা টাকা জেতার ভাঁওতা দিয়ে গ্রাহকদের গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয়।