সম্পত্তির ভাগ বাঁটোয়ারার কথা তখনই ওঠে যখন পূর্বপুরুষ উইল না করেই মারা যান। যাই হোক, মজার বিষয় হল, ভারতীয় আইন অনুযায়ী, ঠাকুর্দার স্ব-অর্জিত সম্পত্তিতে নাতির জন্মগত কোনও অধিকার নেই।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগী বলতে পারেননি, KBC ১৫-র ৭ কোটি টাকা জেতার উত্তর কি আপনি দিতে পারবেন?
হ্যাঁ, পৈতৃক সম্পত্তিতে নাতির জন্মগত অধিকার আছে, অর্থাৎ নাতির জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার ঠাকুর্দা বা পূর্বপুরুষের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে তার অংশ নিশ্চিত হয়ে যায়।
advertisement
কিন্তু ঠাকুর্দা মারা গেলে সেই সম্পত্তি নাতি পাবে না। ঠাকুর্দা যদি কোনও সম্পত্তি কেনেন তবে তিনি অন্য কাউকে তা দিয়ে যেতেই পারেন। সেই সম্পত্তিতে নিজের উত্তরাধিকার দাবি করার কোনও অধিকার নাতির নেই। আর যদি উইল না করে ঠাকুর্দা মারা যান, তাহলে তাৎক্ষণিক আইনগত উত্তরাধিকারীরা অর্থাৎ ঠাকুর্দার ছেলে, মেয়ে এবং ছেলের স্ত্রী সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। নাতির কোনও ভাগ নেই।
আরও পড়ুন: ফোনে আসা লিঙ্ক আসল না নকল? হ্যাকারদের ফাঁদ কেটে বেরোবেন কীভাবে? রইল ৪ উপায়
মৃত ব্যক্তির স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাদের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে গণ্য হবে এবং অন্য কেউ সম্পত্তির অংশ দাবি করতে পারবে না। এখন যদি দাদুর ছেলে-মেয়ের কেউ দাদুর মৃত্যুর আগেই মারা যান তখন মৃত পুত্র বা কন্যার আইনগত উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রথম পুত্র বা কন্যা সেই সম্পত্তির অংশ পাবে।
সুতরাং কারও ঠাকুর্দা মারা গেলে, তাঁর সম্পত্তি প্রথমে ছেলের কাছে যাবে, নাতির কাছে নয়। এর পর নাতি তাঁর পিতার কাছ থেকে তার অংশ পাবে। একমাত্র যদি পিতা ঠাকুর্দার মৃত্যুর আগেই মারা যান তাহলে পিতার অংশ সরাসরি নাতির কাছে আসবে।
পৈতৃক সম্পত্তিতে নাতির জন্মগত অধিকার রয়েছে। এ বিষয়ে কোনও বিরোধ দেখা দিলে তিনি দেওয়ানি আদালতে যেতে পারেন। যেভাবে পিতা বা পিতামহ তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত পৈতৃক সম্পত্তির অধিকারী হয়েছেন নাতিও সেভাবে এই সম্পত্তি পাবে।