এর পাশাপাশি রয়েছে ঘুঘু ধরার ফাঁদ সহ শিকার করার অন্যান্য যাবতীয় আসবাবপত্র। বর্তমানে এই সংগ্রহশালা আগেকার দিনের আদিবাসীদের জীবনের জলজ্যান্ত এক উদাহরণ। এই সংগ্রহশালার দায়িত্বে থাকা বিমল বাস্কি জানিয়েছেন, বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আগেকার দিনে আদিবাসী সমাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র ভুলতে বসেছেন।
আরও পড়ুনঃ বাংলা মোদের গর্ব আশা জোগাচ্ছে ব্যবসায়ীদের
advertisement
তারা এখন ঢেঁকি অথবা আগেকার দিনে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র বা শিকারের জন্য ব্যবহৃত সামগ্রী কেমন ছিল তা জানেন না। সেই সকল নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়ে এবং সমাজের অন্যান্য শ্রেণীর মানুষদের সামনে আদিবাসী সমাজের ব্যবহৃত জিনিসপত্র তুলে ধরার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে যে কেউ ভ্রমণের জন্য আসতে পারেন জিনিসপত্র দেখতে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এই সংগ্রহশালা খোলা থাকে। এই সংগ্রহশালায় থাকা জিনিসপত্রের বয়স কয়েক যুগ পুরাতন বলেই জানিয়েছেন বিমল বাসকি।
আরও পড়ুনঃ রবিশস্যের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বাংলা শস্য বিমা যোজনা, বীরভূমে শুরু হল আবেদন
এর পাশাপাশি এই সংগ্রহশালায় আরও বেশ কিছু পাথরের জিনিসপত্র যেগুলি ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের তরফ থেকে এখানে রাখা হয়েছে সেগুলোর বয়স কয়েক লক্ষ বছর বলেই জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও রয়েছে সিধু কানহুর ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র। সংগ্রহশালায় থাকা জিনিসপত্র দেখে এবং সংগ্রহশালার তথ্য থেকে জানা যায় এখানকার অধিকাংশ জিনিসপত্রের বয়স ১০০ বছরের বেশি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, আদিবাসীদের এই সংস্কৃতি সংগ্রহশালা বীরভূমের একমাত্র সংগ্রহশালা। বীরভূমের অন্য কোন জায়গায় এমন সংগ্রহশালা নেই বলেও জানা যাচ্ছে।
Madhab Das