ইতিমধ্যে অনেক পুণ্যার্থী হোটেল বুকিং করেছেন। তারাপীঠমন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “তিনদিন ব্যাপক ভিড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই ভক্তদের নিরাপত্তায় মন্দিরের পক্ষ থেকে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি পুলিশের সাহায্যও চাওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: মহাশিবরাত্রির দিন ৪ রাশির ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে! সৌভাগ্য চড়বে সোনার সিঁড়িতে
advertisement
বামদেব স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবছর ধুমধাম করে এই দিনটি পালন করা হয়। ওইদিনের বিশেষ তিথিতে বহু ভক্ত ও সাধক তারাপীঠে আসেন। তাঁরা আটলা গ্রাম ও বামদেবের বাড়িতে ভিড় জমান। ওইদিন রয়েছে শিবরাত্রি। তারাপীঠে দেবীর গর্ভগৃহের সামনে রয়েছে প্রাচীন শিবমন্দির। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা মহাদেবের মাথায় জল ঢেলে মনস্কামনা জানান।
আরও পড়ুন: শনি দেবের উদয়, ৪ রাশি টাকার গদিতে! ফিরবে ভাগ্য, হবে সম্পদের বৃষ্টি
ফলে প্রত্যেক বছর এই সময় তারাপীঠে ভক্ত সামাগম ঘটে। একইভাবে প্রতি অমাবস্যায় ভক্তদের ভিড় জমে তারাপীঠ মন্দির। স্বভাবতই শুক্রবার শিবরাত্রি, শনিবার অমাবস্যা এবং পরের দিন রবিবার হওয়ায় ব্যাপক ভিড়ের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও শেষ, ফলে বহু অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের ভাল ফলের আশায় শুভক্ষণে তারাপীঠে পুজো দিতে আসবেন। বলে জানান তারাময়বাবু।
তিনি বলেন, “প্রত্যেক বছর বামদেবের আবির্ভাব তিথিতে মন্দির সাজিয়ে তোলা হয়। ওইদিন আটলা গ্রাম থেকে বামদেবের প্রতিকৃতি নিয়ে মন্দিরে আসেন তাঁর ভক্তরা, চলে পূজার্চনা। আটলা গ্রামে সাধকের জন্মভিটেতে মাটির বাড়ি ফুল ও লাইট দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে।বাড়িতে থাকা তাঁর মূর্তির সামনে সারাদিন ধরে চলবে পুজো।”
বামাখ্যাপা স্মৃতিরক্ষা কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা স্মৃতিময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওইদিন বামদেবের প্রতিকৃতি নিয়ে তারাপীঠ প্রদক্ষিণ করা হবে। সেই সঙ্গে আটলা গ্রামে বামদেব মন্দিরে চলবে চণ্ডীপাঠ, পুজো, কীর্তন। প্রায় হাজার দশেক মানুষকে পাত পেড়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে যাত্রাপালার আয়োজন, বসবে মেলাও।”
সৌভিক রায়