ঐদিন মা মনসার ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং বাড়ির প্রতিটি সদস্য মহানবমীর দিন পর্যন্ত নিরামিষ খাবার খেয়ে থাকেন। এই পূজো করা হয়ে থাকে বৈষ্ণব মতে। এখানে বলি প্রথা নেই। একসময় এখানে মৃন্ময়ী মূর্তির পুজো হয়ে থাকলেও ২০১৭ সালে নবদ্বীপ থেকে আনা হয় পিতলের মূর্তি এবং তারপর থেকেই সেই পিতলের মূর্তি পূজিত হয়ে আসছেন। মৃন্ময়ী মূর্তির পরিবর্তে পিতলের মূর্তিতে পুজো করার কারণ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার পাশের বাড়ির ছাদে! আগুন জ্বলছে এলাকায়
তাদের দাবি মৃন্ময়ী মূর্তি দিয়ে পুজো করার পর অজ্ঞাত কারণে মূর্তির ওজন এতটাই বেড়ে যেত যে সাধারণ মানুষেরা তা বেদী থেকে নামাতে পারতেন না। আদিবাসী মানুষদের দিয়েই সেই মূর্তি নামানো হত। কিন্তু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এখন আর সেই ভাবে আদিবাসী মানুষদের পাওয়া যায় না। এরপরই তারা সিদ্ধান্ত নেন মৃন্ময়ী মূর্তির পরিবর্তে পিতলের মূর্তি দিয়ে পুজো করার।
আরও পড়ুনঃ একই দিনে সিউড়িতে তিন যুবকের রহস্য মৃত্যু! উত্তপ্ত সিউড়ি থানা এলাকা
পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে যেভাবে মন্দির এবং তার সামনে নাটশালা ছিল সেই ভাবেই এখানেও সবকিছু তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশে যে সকল রীতিনীতি মেনে পুজো করা হত সেই একই রীতিনীতি এখানেও পুজো করা হয়। যদিও এই পূজোয় এখন আর বাংলাদেশের কেউ আসেন না দেখা যায় না বলেই জানা যাচ্ছে।
Madhab Das