এখানে রাধা গোবিন্দের রাস উৎসবকে ঘিরে মেলার আয়োজন করা হয়। বেলা যত গড়ায় সেই মেলা ততই জমজমাট হতে শুরু করে। কোমা গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে দর্শনার্থীদের আগমণ হয় এই গ্রামে। এখানে যারা রাধা গোবিন্দের রাস উৎসবের আয়োজন করে থাকেন তারা হলেন ধনঞ্জয় পন্ডিতের বংশধর। এখানে তিনটি বাড়ি রয়েছে, বড়বাড়ি মেজো বাড়ি এবং ছোট বাড়ি। বড় বাড়িতে স্থায়ীভাবে রাধাগোবিন্দের মূর্তি রয়েছে এবং বাকি দুই বাড়ির তরফ থেকে পালা করে রাধা গোবিন্দের সেবা করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শুধু রাস উৎসব নয়, সঙ্গে লোক সংস্কৃতি মেলা সিউড়িতে
কোমা গ্রামে রাস উৎসব মূলত ছোট বাড়ি এবং মেজ বাড়ির তরফ থেকে আলাদা করে করা হয়ে থাকে। ছোট বাড়ির তরফ থেকে রাস উৎসবের জন্য ঠাকুরকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের পাশে থাকা বনভোজন তলায়। সেখানে চিঁড়ের ভোগ দেওয়ার পর ঠাকুরকে গোটা গ্রাম শোভাযাত্রা করে ঘোরানোর পর আনা হয় মন্দিরে। এরপর রাতে হয় অন্ন ভোগ। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে কোমা গ্রামে রাস উৎসব পালন করা হয়ে আসছে।
আরও পড়ুনঃ যাত্রা বন্ধ হলেও সাড়ম্বরে রাস উৎসব কেউবোনা গ্রামে
এর পাশাপাশি গতকাল পুরন্দরপুর এলাকার যে কেউবোনা গ্রাম রয়েছে, যেখানে রাস উৎসব করা হয়েছিল গতকাল, সেখান থেকে রাধা কৃষ্ণকে বুধবার নিয়ে আসা হয় এই কোমা গ্রামে। এখানে কেউবোনা গ্রামের ঠাকুর দিন কয়েক বিরাজ করবেন। পরে আবার তাকে বাদ্যযন্ত্র ও শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হয় কেউবোনা গ্রামে।
Madhab Das





