প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই নানুর থানা এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলি-সহ পরিতক্ত্য বাইক উদ্ধার করেছিল। তখন দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ দুই ব্যক্তিকে সন্দেহভাজনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাদের কাছে তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ এদের কাছ থেকেই গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল৷ তারপরে আবারও চলতি সপ্তাহে উদ্ধার হল তাজা বোমা।
advertisement
এখনও পর্যন্ত ঘোষণা হয়নি পঞ্চায়েত নির্বাচনের কিন্তু প্রশাসন সূত্রে খবর সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হবে৷ তার আগে এইভাবে যদি নানুর থেকে অস্ত্র, বোমা, গুলি উদ্ধার হতে থাকে তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বা আগে ২০১১ সালের আগের মত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে নানুরে, এমনই মতামত পোষণ করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তারা আরও দাবি করছেন এমত অবস্থায় পুলিশ যেন কোনও রাজনৈতিক দল না দেখে নানুরে যে সমস্ত বেআইনি অস্ত্র বা বোমা মজুত করা রয়েছে তা উদ্ধার করে এবং নানুর যেমন শান্ত রয়েছে ঠিক তেমন শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।
আরও পড়ুন: গরিবের রাজা রবিনহুড! দু'হাত নেই, মায়ার বাঁধনে অসহায়ের পরম বন্ধু জগন্নাথ
এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দলের নানুরের দায়িত্বে থাকা নেতারা জানাচ্ছেন এই অস্ত্র বা বোমা উদ্ধার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয় তারা জোর গলায় জানাচ্ছে তাদের কর্মী সমর্থকেরাও এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত হতে পারেনা। এটা সম্পূর্ণভাবে অসামাজিক ব্যক্তিরাই প্রশাসন বা পুলিশ যেন নানুর থেকে বেআইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে৷ পুলিশ যেন দলমত নির্বিশেষে সমস্ত বেআইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে নির্বিঘ্নে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে এমনটাই দাবি জানাচ্ছে দুই রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্বরা।
পাশাপাশি নানুরে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছে নানুর আগের থেকে অনেক শান্ত কিন্তু সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যেভাবে অস্ত্র বোমা উদ্ধার হয়ে চলেছে তাতে আর কতদিন এভাবে শান্ত থাকবে তা নিয়ে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছে। পুলিশ যেভাবে কাজ করছে তারা যেন এইভাবে কাজ চালিয়ে যায় এবং বেআইনি অস্ত্র বোমা উদ্ধার করে তার দাবি জানাচ্ছে তারা।
ইন্দ্রজিৎ রুজ