বর্ষীয়ান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছে। এই অভিযোগ তুলে ‘ভারতরত্ন’ অধ্যাপক সেনকে ‘জমি হরফকারী’, ‘জমি কব্জাকারী’ বলে উল্লেখ করে জমি ফেরত চেয়ে উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমনকি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদকে তির্যক ভাষায় আক্রমণ করে বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যদিও, বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন অধ্যাপক সেন৷
advertisement
কিন্তু, একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তথা ভারতরত্ন অমর্ত্য সেনকে হেনস্থার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষজন৷ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এছাড়া, তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, চিত্রকর যোগেন চৌধুরী, শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন প্রমুখ। অধ্যাপক সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদেরা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ৩০৪ জন শিক্ষাবিদ চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে সরবও হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ জর্জ আর্থার একারফল, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান তথা ভারত সরকারের প্রাক্তন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু প্রমুখ। এমনকি, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল বর্ষীয়ান মার্কিন ভাষা বিজ্ঞানী নোম চমস্কিকেও৷