বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এ দিন নিজ বাসভবন থেকে সেন্ট্রাল অফিসে আসার প্রস্তুতি নিলে শুরু হয় এই উত্তেজনা। পড়ুয়ারা তাঁকে কোনওভাবেই বার হতে দেবেন না মনস্থির করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জমা হলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই বেঁধে যায় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়াদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিরাপত্তা রক্ষীদের সামনে রেখে নিজে পিছন থেকে নির্দেশ দেন পড়ুয়াদের ওপর আক্রমণ করার। গুন্ডাগিরির মধ্য দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চের চেয়ার ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা চালান হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘‘সিবিআই হেফাজতে কী করে মারা গেল’, লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া মমতার
আরও পড়ুন: অরুণাচলে ভারত-চিন সংঘর্ষ, এর পিছনেও নেহরু-রাজীবের হাত? কী বললেন শাহ!
বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলার পর শেষমেশ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এসে পৌঁছান বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে। অন্যদিকে এই ঘটনার পর আন্দোলনরত পড়ুয়ারাও সেন্ট্রাল অফিসের সামনে ধাপে ধাপে জড়ো হতে শুরু করেন এবং তারা বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে এমন উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে জড়ো হয় পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে যদিও ঘটনাকে বড় কিছু ঘটেনি বলেই দাবি করা হয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর মহাকুমার এসডিপিও নিখিল আগারওয়াল জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুপক্ষের মধ্যে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যদি কারো বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করা হয়ে থাকে তাহলে লিখিতভাবে পুলিশকে অভিযোগ জানানো যেতে পারে।
Madhab Das