তবে তাদের পড়ানোর জন্য রয়েছেন একজন মাত্র শিক্ষিকা আর তিনি হলেন সাবিত্রী সরকার। ২০০৩ সালে এই স্কুলটি প্রথম পথ চলা শুরু করে। সেই সময়ই সহায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন সাবিত্রী সরকার এবং তার সঙ্গে মুখ্য সহায়ক হিসেবে আরও একজন নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি অবসর নেওয়ার পর আর কেউ সেখানে নিযুক্ত হননি এবং তারপর থেকেই এইভাবে তাকে সমস্ত দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। এতজন পড়ুয়ার দায়িত্ব সামলাতে সামলাতে হিমশিম অবস্থা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ওই শিক্ষিকার বলে দাবি করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গড়ে উঠবে নতুন বীরভূম! কর্মশালা জেলা প্রশাসনের
কারণ প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর এতজন পড়ুয়ার পড়াশুনোর দায়িত্ব যেমন তার মাথায় রয়েছে ঠিক তেমনি আবার দায়িত্ব রয়েছে ঠিকঠাক মিড ডে মিলের খাবার রান্না হচ্ছে কিনা তা দেখার। এর পাশাপাশি স্কুলের যাবতীয় নথি এবং হিসাব রাখার দায়িত্বও তার ঘাড়ে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে যখন তিনি বারান্দায় কোন একশ্রেণীর ক্লাস নেন তখন অন্য কোন ক্লাসের একজন পড়ুয়াকে নেত্রী বানিয়ে পড়াশোনা করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরির অভিযোগ রাজগ্রামে
পরে তিনি আবার সেই ক্লাসে গিয়ে পড়া ধরেন। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্কুলের অভিভাবকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একজন শিক্ষিকা হওয়ার কারণে সাবিত্রী দেবীকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়, তবে পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ব্যাঘাত ঘটে। তারা চান স্কুলের চাহিদা মত যাতে আরও শিক্ষক-শিক্ষিকা নিযুক্ত হন।
Madhab Das