আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলের খাবার নিয়ে অভিযোগে স্কুলের গেটে তালা অভিভাবকদের
মহাজন লাভবান হলেও তাঁত শিল্পীরা দিন কাটাচ্ছেন অভাবে। পুজোর আগে অর্ডারের অভাব তাঁতিদের জীবীকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বীরভূমের বাসোয়া গ্রাম মূলত তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু সেখানকার তাঁত শিল্প আজ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে। একটা সময় ছিল পুজোর আগে তাঁত শিল্পীরা খাওয়া-দাওয়ার সময় পেতেন না। কিন্তু যন্ত্রচালিত তাঁত এসে যাওয়ায় গোটা বাজারটাই তাদের দখলে চলে গিয়েছে। হস্তচালিত তাঁতের চাহিদা কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। যন্ত্র চালিত মেশিনে খুব কম সময়ে শাড়ি বোনা যায়। এর ফলেই হস্তচালিত মেশিনের চাহিদা কমেছে।
advertisement
হাতেগোনা কয়েকদিন পর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো শুরু। কিন্তু তার আগে একদমই চাহিদা নেই হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের। যে কয়েকটি অর্ডার আসছে তাতেও ঠিক পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তাঁত শিল্পীরা। একটি ১৪ হাতের কাপড় তৈরি করতে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা সময় লাগে। ৩-৪ জন মিলে কাজ করার পর একটি কাপড় তৈরি হয়। তার জন্য পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৪০০ টাকা! এই সামান্য টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁতিদের।