আরও পড়ুন: ভয়ে ভয়ে পুজো করতে যেতেন পুরোহিত! কালীর মূর্তি নেই, ৫০০ বছর ধরে পুজো হয় গাছের
বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর থানার কোটাসুর গ্রামকে জুড়ে রয়েছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী। কথিত আছে, কোনও এক সময় কোটেশ্বর রাজার রাজধানী ছিল এই কোটাসুর। সেই রাজার নামানুসারে গ্রামের নাম হয় কোটাসুর। তবে অতীতে কোটাসুরের নাম কী ছিল তা আজ আর কেউ বলতে পারে না।
advertisement
এই গ্রামের মধ্যেই রয়েছে কুলদেবতা মদনেশ্বর শিব মন্দির। এই মদনেশ্বর শিব মন্দিরকে রক্ষা করার জন্য গোটা গ্রাম একসময় বিশাল আকারের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল। আর সেই পাঁচিলে ছিল দুটি দরজা। দক্ষিণ দিকে রয়েছে বাবা সন্ন্যাসী ও উত্তর দিকে আছেন কোটাসুর বাজার সংলগ্ন দ্বারবাসিনী কালী।
এক সময় এই এলাকাজুড়ে ছিল বিরাট বড় জঙ্গল। আর এই জঙ্গলের মধ্যেই ছিল এই কালী মন্দির। সেই সময় গ্রামেরই পুরোহিত দুর্গাপদ পাণ্ডার প্রচেষ্টায় জঙ্গল পরিষ্কার করে পুনরায় আবার নিত্য পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। ১৩৭৭ সালে প্রথম কালী মন্দির নির্মাণ করা হয় গ্রামে। এই কালীমন্দিরে একসময় তন্ত্র সাধনা হত। বর্তমানে দিন বাড়ছে মা কালীর ভক্তের সংখ্যা। প্রতি আমাবস্যায় ভক্ত সমাগম হয়। এলাকাবাসীর মতে, দ্বারবাসিনী কালীকে মন থেকে ডাকলে সমস্ত অসুখ শরীর থেকে দূর হয়ে যায়।
সৌভিক রায়