আরও পড়ুন: দলে ‘বেনোজল’ নিয়ে ‘বিস্ফোরক’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্যজুড়ে
২৫ বৈশাখ, অর্থাৎ রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই নানান অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে বাংলার বিভিন্ন জায়গায়। গোটা দিন নানাভাবে রবি স্মরণ চলছে। কিন্তু খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের হাতে অতি যত্নে গড়ে তোলা বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের ভাষণ ও কয়েকটি গানের মধ্য দিয়েই সেরে ফেলা হলো রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান। সূত্রের খবর, বরাবরের মত এবারেও রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে বিস্তারিত অনুষ্ঠান সূচি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রাতারাতি তা বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, তাপমাত্রার পারদ চড়ছে, তাই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হবে। যদিও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন আশ্রমিকেরা৷
advertisement
এদিন ভোরে প্রথা মেনে বৈতালিক হয়৷ তারপর উপাসনা গৃহে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন। এরপর কয়েকটি মাত্র গান গায় বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীরা। তারপরই রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান শেষ বলে ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। পরে উদয়ন বাড়িতে কবিগুরুর ব্যবহৃত চেয়ারে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদিন করেন উপাচার্য। তিনি জানান, অতি গরমের জন্য অনুষ্ঠান সূচি বদল করা হয়েছে৷ বাতিল করা হয় মাধবী বিতানের অনুষ্ঠান, সন্ধেয় গৌরপ্রাঙ্গণে নৃত্যনাট্য ‘শাপমোচন’। এই প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে৷ গরমের জন্য দুপুরের অনুষ্ঠান বাতিল হতে পারে। কিন্তু সন্ধের অনুষ্ঠানে সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ আশ্রমিক ও ছাত্র ছাত্রীরা নিশানা করেছেন উপাচার্যকে।
শুভদীপ পাল