শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ মল্লারপুর থানার মল্লারপুর কামরাঘাট রাস্তায় খরাসিনপুরের কাছে ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন বছর ২৬ এর জামিরুল শেখ। তিনি মল্লারপুর থানার মাঝারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে পরিজনরা রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার ঠিক ৩০ মিনিট পর রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র কনভয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: একটু দেরি হয়ে গেলেই বাঁচানো যেত না রোগীকে! চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফল রানাঘাট হাসপাতাল
হাওড়া থেকে রামপুরহাটে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছিলেন বাবুল। কিন্তু সাঁইথিয়ার মোসাড্ডা এলাকায় তাঁর কনভয় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বাবুল নিরাপদ থাকলেও গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী। তাঁদের প্রথমে সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পর চিকিৎসকদের নির্দেশে পাঁচজন নিরাপত্তা রক্ষীকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ডাম্পার দুর্ঘটনায় আহত জামিরুল শেখের পরিবারের অভিযোগ, বাবুল সুপ্রিয়র নিরাপত্তা রক্ষীদের হাসপাতালে আনা হতেই তাঁদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সমস্ত চিকিৎসক ও নার্স। সেই সময় জামিরুলের নাক-মুখ দিয়ে রক্তপাত হলেও কেউ তাঁর দিকে ফিরে দেখেনি বলে অভিযোগ। যন্ত্রণায় ওই যুবক হাসপাতালের শয্যায় শুয়েই ছটফট করছিলেন। পরিজনরা বারবার চিকিৎসক-নার্সদের দেখার অনুরোধ করলেও তাঁরা সাড়া দেননি বলে দাবি। ভোর ৩.২০ নাগাদ জামিরুল শেখের মৃত্যু হয়। ওই যুবকের পরিবারের স্পষ্ট অভিযোগ, চিকিৎসার অভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকালে ওই মৃত যুবকের পরিজনরা রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা হাসপাতালের সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ উঠেছে, মুমূর্ষু রোগীকে ফেলে রেখে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে কর্মীরা বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন!