তদন্তে নেমে একে একে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সিবিআই। এরই মধ্যে এই বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে ৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের নরোত্তমপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতারের পর আদালতে তোলা হলে ৬ দিন এবং পরে ৩ দিনের হেফাজতে নেয় সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ সম্পত্তির লোভে সন্তানের তাণ্ডব! বাবা-মায়ের সঙ্গে নৃশংস আচরণ, সমাজের মাথা হেঁট
advertisement
সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন সোমবার সন্ধ্যায় জানা যায় লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে। তবে কী ভাবে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু হল তা নিয়ে রয়েছে চরম ধোঁয়াশা। সিবিআই আধিকারিকদের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোন বিবৃতি দেওয়া হয়নি। যদিও বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে এমন ঘটনা স্বীকার করা হয়েছে এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের তরফ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা শুরু করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের দাবি, লালন শেখ আত্মহত্যা করেছেন। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকদের তরফ থেকে কোনরকম বিবৃতি এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবির দাবি, সিবিআই তার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। শুধু সিবিআইয়ের ওপর দোষারোপ করেছেন তা নয়, রেশমা বিবি সাংবাদিকদের সামনে ভাদু শেখের ভাইদের বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন। তাঁর কথায়, 'ভাদুর ভাইরা তাদেরকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন এবং তারাই সব শেষ করে দিয়েছেন।' তাঁর দাবি, 'সোমবার সিবিআই আধিকারিকরা তাদের বাড়ি গিয়েছিলেন। বাড়ির সব শেষ করে দিয়েছে সিবিআই।'
লালন শেখ বগটুই গণহত্যা কান্ডের মূল অভিযুক্ত থাকার পাশাপাশি ভাদু শেখ খুনেরও অন্যতম সাক্ষী ছিলেন। কারণ ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করার দিন তিনি তার সঙ্গেই ছিলেন। শুধু সেদিন নয়, এলাকায় ভাদু শেখের ছায়া সঙ্গী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন লালন। তবে লালনের মৃত্যুর পর ভাদু শেখের ভাইদের দিকে যেভাবে আঙুল তুলেছেন ভাদুর স্ত্রী, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Madhab Das