এই শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানান, ঘটনার দিন দুপুর একটা নাগাদ নিখোঁজ হওয়া শিশুর বাবা থানায় অভিযোগ জানান। তারপর থেকেই পুলিশ ছয়টি দল গঠন করে ওই শিশুকে খোঁজার কাজ শুরু করে। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি পুলিশ খোঁজার পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। রাতেও কুকুর এনে তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়াও এলাকার দু'কিলোমিটারের মধ্যে যে জঙ্গল রয়েছে সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু ওই শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরবেলায় ওই শিশুকে রুবি বিবির বাড়ির ছাউনি থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন - Ind vs Aus: ভুবনেশ্বর কুমার কেন ১৯ তম ওভারে বল করছেন, উত্তর চাই!
ঘটনার পর থেকে গ্রামে তন্ন তন্ন করে ওই শিশুকে খোঁজা হলেও কোনও খোঁজ না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ওই শিশুকে অপহরণ করে অন্য কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেখানে খুন করে ফের রুবি বিবির বাড়ির ছাউনিতে রাখা হয়েছিল! যদিও এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে যেভাবে এলাকায় পুলিশি প্রিকেট বসানো হয়েছিল এবং স্থানীয় বাসিন্দারা যেভাবে সজাগ ছিলেন তাতে এই সম্ভাবনা খুব কম। অন্যদিকে এদিন দেহ উদ্ধারের পর গ্রামে উত্তেজনা ছড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশি পিকেট বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - Birbhum News : কম খরচে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি সহ আট জায়গা ভ্রমণের সুযোগ, IRCTC-র নয়া প্যাকেজ
মৃত শিশুর বাবা শম্ভু ঠাকুর এবং মমতা ঠাকুরের দুই ছেলে। বড় ছেলের নাম সুপ্রিয় ঠাকুর (১০)। শম্ভু ঠাকুর পেশায় একজন নাপিত। পেশার তাগিদে তিনি প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তবে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে কেন ওই মহিলা শুভমকে এমন নৃশংস ভাবে খুন করল? যদিও এই বিষয়ে পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই কারণ সামনে আসবে।
Madhab Das