কথিত আছে, দাস পাড়ার মানুষই এই বিসর্জন করে আসছে বহু বছর ধরে। একসময় শিকল বেঁধে, ঝাঁটা দেখিয়ে, গালিগালাজ করে মন্দির থেকে মাকে বের করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এখন সভ্যসমাজে এই রীতি উঠে গেছে। তবে এখনো মাকে শিকল বেঁধে মাকে বেদি থেকে নামানো হয় এবং বিসর্জন করা হয়। পরম্পরা অনুযায়ী দাসপাড়ার লোকেরাই বিসর্জন করেন। শ্মশানকালী বিসর্জনকে ঘিরে দাস পরিবারের লোকেদের বাড়িতে বিপুলসংখ্যক আত্মীয়-স্বজনদের আগমন ঘটে। যে কারণে তারা এই দিনটিকে দুর্গা পুজোর থেকেও বেশি আনন্দমুখর বলে মনে করেন।
advertisement
মায়ের মূর্তি গড়া থেকে শুরু করে সারাবছর পুজো ও দেখাশোনার দায়িত্ব থাকে বৈষ্ণবদের হাতে। তবে বিসর্জনে হয় দাস পরিবারের হাত দিয়ে, এটাই পরম্পরা ভাবে চলে আসছে। বিশালাকার মায়ের মূর্তি শ্নাশানে কালী মন্দিরের পিছনে থাকা রুজের পুকুরে বিসর্জন করা হয়।
আরও পড়ুন: হাসিমারার সুভাষিনী চা বাগান এলাকায় পথ দুর্ঘটনা, মৃত এক যুবক
গুরুপদ দাস জানান, এক সময় মাকে বেদীতে থেকে নামাতে গালিগালাজ করা হতো এবং ঝাঁটাও দেখানো হতো কিন্তু বর্তমান সভ্য সমাজে তা এখন হয় না। তবে এখনও মাকে শেকল বেঁধে বেদি থেকে নামানো হয়। এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দাসপাড়ার প্রত্যেকের বাড়িতেই আত্মীয়স্বজন আসেন। গত দু'বছর ধরে করোনাকালে লাগাম ছাড়া ভাবে এই মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি এলাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষরা। যে কারণে এবার এই মেলাতে ঘিরে উৎসাহ ছিল চরমে। মেলায় যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য করা হয়েছিল দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
Madhab Das