চাকরির নাম করে ২৪ লক্ষ টাকা প্রতারণার এমন অভিযোগ তুলেছেন বীরভূমের পাইকর থানার অন্তর্গত হিয়াত নগরের বাসিন্দা আবু বাক্কার শেখ। তিনি প্রতারণার ঘটনার চক্রের কথা বলেছেন তা বিরাট রহস্যজনক। আসলে তিনি যাদের হাতে এমন প্রতারিত হয়েছেন তারা শাসকদলের নেতা বলেই জানিয়েছেন তিনি। এমনকি তিনি নিজেও ২০১৯ সালে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হন।
advertisement
শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই তার পরিচয় হয় বোলপুরের সিয়ান গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া এবং তার ছেলে গোলাম এসাহাকের সঙ্গে। এই দুজনের মাধ্যমেই তার আবার পরিচয় হয় লাভপুরের আনাই শেখের সঙ্গে। এই সকল ব্যক্তিরা আবু বাক্কার শেখের পরিবারের চারজনের চাকরি করে দেবেন বলে দাবি করে মোট ২৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন - হুড়মুড়িয়ে ডেঙ্গি বাড়ছে কলকাতা সহ রাজ্যে, কলকাতা পুরসভার সামনে মশারি টাঙিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির
এমনকি এই টাকা পাওয়ার পর প্রতারিত ব্যক্তিরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়োগপত্রও পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী। যে নিয়োগপত্রে ছিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের প্যাডে এবং দুটি কলকাতা পুলিশ কমিশনারের প্যাড। কিন্তু এই সকল নিয়োগপত্র যাচাই করতে গিয়ে আবু বাক্কার শেখ জানতে পারেন সব ভুয়ো। ঘটনার পর ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর অভিযোগকারী ব্যক্তি অভিযুক্তদের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টে তাদের ফাঁসিয়ে দিয়ে গ্রেফতার করানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবু বাক্কার শেখ এবং তার ভাগ্নে ৬৫ দিন জেল খেটেছেন।
আরও পড়ুন - বন্দরের হাত ধরে রাজ্যে আসতে চলেছে বিনিয়োগ, ২৫০ কোটি টাকা এল শালুকখালি প্রকল্পে
এমন সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাইকর থানায় সমস্ত কাগজপত্র জমা নিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে দাবি করেছেন আবু বাক্কার শেখ এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এখন দ্বারস্থ হয়েছেন রামপুরহাট মহকুমা শাসকের। এই লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বোলপুর মহকুমা শাসক সাদ্দাম বাভাস অভিযোগকারী ব্যক্তিকে আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখার।
Madhab Das