এই সকল অভিযোগের মধ্যে রয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের টেট পরীক্ষায় পাশ না করেও স্কুল শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হওয়া এবং স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে বসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বছরের পর বছর ধরে বেতন তোলা। যদিও এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে সব পাশ করেছেন। আদালত বুঝবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় সই, বীরভূমের কোন স্কুলে কর্মরত অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মন্ডল?
সুকন্যা মণ্ডল কী স্কুলে আসতেন? স্কুলে গিয়ে এক শিক্ষককে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি আপাতত এই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, 'এখন কিছু বলতে পারব না দাদা। সমস্তটাই বিচারাধীন'। এমনকী স্কুলে এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলের মূল দরজায় তালা বন্ধ করে রাখছেন।
আরও পড়ুন: জমির বিনিময়ে গরু? অনুব্রতর পাচার-পদ্ধতি খুঁজতে গিয়ে আকাশ থেকে পড়ছে সিবিআই!
যখন এই সকল ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা তর্কবিতর্ক সেই সময় অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল যে স্কুলে চাকরি করেন অর্থাৎ কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেখানকার শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা কি বলছেন? খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলেও আগেই বলে রাখা দরকার কলকাতা হাইকোর্ট আপাতত সুকন্যা মণ্ডল সহ মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে হাজিরা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ বুধবার জারি করা হয়েছিল তা আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং জানানো হয়েছে এই মামলার শুনানি হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর।
অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের চাকরি এবং তাঁর টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে নানা সওয়াল উঠছে সেই সময় স্থানীয় এক বাসিন্দা সুকেশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "আমি এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা। তবে কখনও তাকে স্কুলে আসতে দেখিনি।"
মাধব দাস