এই খুনের তদন্তে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চারটি টিম গঠন করা হয়। গতকাল সন্ধ্যের পর থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত একে একে গ্রেপ্তার করা হয় ৫ জনকে । আগামীকাল ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে । নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি ।
advertisement
ধৃতদের মধ্যে চারজনের বাড়ি নলহাটিতে এবং একজনের বাড়ি সাঁইথিয়া । ধৃতদের নাম অভিষেক সালুই , তারক কর্মকার , গোড়া খান ও রাজেশ শেখ এই চারজনের বাড়ি নলহাটি এবং সুখেন কর্মকারের বাড়ি সাঁইথিয়ায় । অভিষেক সালুইয়ের সোনার দোকান রয়েছে ওই চিকিৎসকের বাড়ির নিচের তলায় । প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান জমি সংক্রান্ত কারনেই খুন হন চিকিৎসক। পুলিশের অনুমান ২৩ তারিখ বিকেলে খুন করা হয় চিকিৎসককে ৷ যারা খুন করেছে তারা ধরা পড়েছে৷ এই ঘটনার পিছনে কার পরিরল্পনা ছিল, তা হেফাজতে নেওয়ার পরই জানা যাবে ।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যে ঠাসা বীরভূমের রাজনগর রাজবাড়ি, ইতিহাস গায়ে কাঁটা দেবে, গরম কমলে ঘুরে আসুন
জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি জানান , " গত ২৪ এপ্রিল মদনলাল চৌধুরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় । তার মৃত দেহের মুখে হাতে পায়ে জড়ানো ছিল সেলোটেপ এবং তার পরনের জামা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিলো তার হাত-পা । এই মৃতদেহ পাওয়ার পরই আমরা তদন্ত শুরু করি ।’’ তদন্তের শুরুতে কোনও সূত্র ছিল না ৷ তারপরই যেখানে মৃতদেহটি পাওয়া যায় সেই জায়গাটি সিল করা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় ফরেন্সিক টিমকে ।
এরমধ্যেই বীরভূমের এডিসন্যাল এস পি হেড কোয়ার্টারের নেতৃত্বে চারটি টিম তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন কাজ তাদের ভাগ করে দেওয়া হয় । গতকাল সন্ধ্যের পর থেকে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তারপরই আমরা আজ দুপুরে একে একে ধৃতদের গ্রেপ্তার করি । আগামীকাল ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে । ওঁনার পরিবারের যারা আছেন তারা সবাই তদন্তে সাহায্য করেছেন ।