আরও পড়ুন: গরুর বদলে মোষ পাচারের রমরমা! অসমে পাঠানোর আগেই উদ্ধার ৭৫ টি অবলা জীব, গ্রেফতার ১
অযোধ্যা গ্রামকে মূল কেন্দ্র করে শুরু হয় বন্দোপাধ্যায় পরিবারের জমিদারি। তাঁদের দাপট ছিল ব্যাপক। ১০৮ জন লাঠিয়াল সর্ব সময় পাহারা দিত বন্দ্যোপাধ্যায়দের জমিদার বাড়ি। ইংরেজ সাহেবের বদন্যতায় এই অবাক উত্থান হলেও দেশের মানুষের পাশেই ছিলেন রামমোহনবাবু। ইংরেজদের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের জমিদারিতে তিনি নীল চাষ বন্ধ করে দেন।
advertisement
গ্রাম বাংলার গরিব কৃষকদের রক্ষা করতে নীল চাষের পরিবর্তে ধান, সবজি চাষের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে যাওয়ায় বেশ কিছুটা সম্পত্তি হারাতে হয়েছিল। তবুও ইংরেজের সঙ্গে কোনদিন আপোষ করেনি বন্দোপাধ্যায় পরিবার। ইংরেজরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে সরকার জমিদারি প্রথা বিলোপ করে। অন্যান্য জমিদারির মতো বন্দ্যোপাধ্যায়দেরও বিশাল প্রভাব প্রতিপত্তি কমতে থাকল দ্রুত গতিতে। বর্তমানে বেশিরভাগ জমি ও সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। তারপর যেটুকু পড়ে আছে তা দেবোত্তর ট্রাস্টের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ হয়। বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব প্রতিপত্তি কিছুই আর না থাকলেও তাঁদের অতীতের সেই ইতিহাস আজও অমলিন।
এই হল অযোধ্যা গ্রামের দেবোত্তর এস্টেটের গুগল লোকেশন- https://maps.app.goo.gl/SHFJZNyXS7Z4GVBi8
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী