বাবার কথা ফেলতে পারেননি ছাতনার আলমগীর। গাছ বিক্রি করে কিনেছেন একটি টোটো। আর সেই টোটোতে করে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছেন রোগীকে। গ্রীষ্মের দাবদাহ বা বৃষ্টি, কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি আলমগীরের জনসেবার। ভোররাতে কিংবা মাঝরাতেও বাঁকুড়ার রোগীদের হাসপাতাল নিয়ে যেতে দ্বিধাবোধ করেন না আলমগীর। এ বিষয়ে আলমগীর জানান, তাঁর বাবার অনুপ্রেরণায় এই মানব সেবায় ব্রতী হয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: আইপিএল-এর জন্য ফিরল ভাগ্য! রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন দিনমজুর, কীভাবে জানেন!
আরও পড়ুন: ৩০ বছর কুপির আলোয় জীবন, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আবেদনে বিদ্যুৎ এল বৃদ্ধার ঘরে
মানুষের কষ্ট এবং মানুষের অসহায় রূপ খুব কাছ থেকে দেখেছেন আলমগীর। যতদিন এই শরীর চলবে, ততদিনই রোগীদের বিনামূল্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজ। মাসে রোজগার খুবই কম তবুও বিনা পয়সায় রোগীদের পৌঁছে দিতে দ্বিধাবোধ করেন না আলমগীর। আবার কখনও কখনও নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেন দুঃস্থ রোগীকে।
বহু সময় দেখতে পাই মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক এলে কিছু সহৃদয় চালকেরা বিনামূল্যে টোটো পরিষেবা দেন ছাত্রছাত্রীদের। তাঁদের এই ঋতুকালীন পরিষেবা অনেকটাই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সাধারণ মানুষের। অপরদিকে ছাতনার আলমগীর শেখ সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টাই রোগীদের পৌঁছে দিচ্ছেন হাসপাতালে। তাঁর এই মহান কর্মকাণ্ডের কথা জানেন না অনেকেই। যাঁরা জানতে পেরেছেন তাঁরা অবাক হয়েছেন বা তাঁর টোটোর পিছনের প্ল্যাকার্ডের ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছেন যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই সুবিধা পেতে পারে। সরকারি আর্থিক সহায়তা পাননি আলমগীর। তবুও দমে না গিয়ে নিজের ইচ্ছায় প্রচার বিমুখী হয়ে সেবা করে চলেছেন আলমগীর।
Nilanjan Bannerjee





