সেই মায়ের কাছে মনবাসনা জানালেই নাকি মেলে সরকারি চাকুরি। এমনই বিশ্বাস নিয়ে ৮২ বছর ধরে পূজিত হচ্ছে সোনামুখীর 'সার্ভিস কালী'। এই শহরে লুকিয়ে আছে আরেক মহিমান্বিত কালী মা যা ওই এলাকায় যা সাধারণ মানুষের কাছে 'সার্ভিস কালী' নামে পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন একটা সময় সোনামুখীর এক শ্রেণীর বাস মালিক পক্ষ বাস সার্ভিস চালু করার জন্য সরকারি লাইসেন্স কিছুতেই পাচ্ছিলেন না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কর্মহীন পাথর খাদান শ্রমিকদের বিক্ষোভ শালতোড়ায়
ঠিক সেই সময় বাস মালিকরা এই কালী মায়ের কাছে মানত করেন আর তাতেই নাকি মায়ের কৃপায় লাভবান হন তারা। চালু হয় তাদের বাস সার্ভিস পরিষেবা। ঠিক তখন থেকেই এলাকার মানুষজনের কাছে এই কালী 'সার্ভিস কালী' রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। এখনও নাকি ভক্তি সহকারে এই সার্ভিস কালী মন্দিরে মা কালীর কাছে যারা সরকারি চাকরির জন্য মন প্রাণ ভরে মনবাসনা জানান তাদেরও মনোবাসনাও নাকি পূর্ণ হয়। তাই এখানকার মা পুজিত হোন সার্ভিস কালি নামেই। প্রথমে এই কালি মায়ের গহনা বলতে সেই ভাবে কিছু ছিল না।
আরও পড়ুনঃ জুয়ার আসরে হানা পুলিশের, পাকড়াও আট জুয়ারি
কিন্তু এখন মা অষ্টাঙ্গ গয়নাতে পরিপূর্ণ। কারণ এই সার্ভিস কালী ভক্তদের যেমন মনোবাসনা পূর্ণ করেন ঠিক তেমনি মাকে গহনা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। কালীপুজোর তিনটে দিন এই পূজাকে কেন্দ্র করে মেতে ওঠেন সারা সোনামুখী বাসি থেকে শুরু করে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ভক্তবৃন্দ। একেবারে রীতিনীতি মেনে এই কালীমন্দিরে পূজিত হন সার্ভিস কালী।
Joyjiban Goswami