লম্বা পথ বাঁকে জল নিয়ে হাঁটতে তাঁদের কোনও কষ্ট হয়নি। এর কারণ হিসেবে পুণ্যার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁদের মনে থাকা আধ্যাত্মিক চেতনা এই পথ পাড়ি দিতে শারীরিক ও মানসিক জোর যুগিয়েছে। ভোরে বাবার আশীর্বাদ পাওয়ার ইচ্ছে নিয়েই মন্দিরে পৌঁছে যান ভক্তেরা। দিনভর চলে মহাদেবকে স্নান করানো এবং পুজো পাঠ। বাঁকুড়ার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র শুশুনিয়া পাহাড়। পিছনে সুবিশাল পাহাড়। পাহাড়ের কোলে দেখা যাচ্ছে কালো মেঘ। আর এই পাহাড়ের জলকে কেন্দ্র করেই মানুষের আধ্যাত্মিক বিশ্বাস।
advertisement
আরও পড়ুন: অনলাইন পোর্টাল হয়েও হাল ফিরল না, পড়ুয়ার অভাবে ধুঁকছে জেলার কলেজগুলো
শুশুনিয়ার পবিত্র ঝর্ণার জল বাঁকে করে বহন করে নিয়ে যান ভক্তরা। এরপর মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গের মাথায় সেই জল ঢালেন। সোমবার দেখা গেল পাহাড়ের কোলে গেরুয়া বসন পরিহিত সঙ্গবদ্ধ মানুষের লম্বা লাইন। রাস্তার এক ধার দিয়ে হাঁটছেন পূর্ণ্যার্থীরা, অপর ধার দিয়ে যাচ্ছে অন্যান্য যানবাহন। এত ভিড়ের মধ্যেও যেন শুশুনিয়ার সৌন্দর্য ঢেকে রাখা যাচ্ছে না।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী