গল্পের শুরু ১৫৯২ খ্রিস্টাব্দে, তখন বিষ্ণুপুরের রাজা বীর হাম্বীর শাসনভার লাভ করেছেন। দিল্লীর দরবারে তার সুসম্পর্ক। সেখানেই এই তাস খেলা দেখেন তিনি। তাঁরই নির্দেশে কার্ত্তিক ফৌজদারের হাতে তৈরি হয় বিষ্ণুপুরী ঘরানায় দশাবতার ওরক বা তাস। সময় পেরিয়েছে অনেকটা। নেই রাজা, নেই রাজাদের রাজত্বও। স্বাভাবিকভাবেই মল্ল রাজাদের চিত্তবিনোদনের দশ অবতার তাস আজ বিলুপ্তির পথে। স্মার্টফোনের যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে এই দশ অবতার তাস। ঠিক তখনই বিষ্ণুপুরের কন্যা শিল্পা সূত্রধরের ভাবনায় ফুটে ওঠা দশ অবতার রাখি সেই মল্ল রাজাদের ইতিহাস পুনরুত্থানের এক প্রচেষ্টা।
advertisement
এই দশ অবতার তাসকে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় তার জন্যে এবারের রাখি বন্ধন উৎসবে নতুন নিদর্শন দশ অবতার রাখি। রাখি বন্ধনের জন্য রাত দিন এক করে শিল্পা সূত্রধর তাঁর তুলির টানে মল্ল রাজাদের ইতিহাসের দশ অবতার তাসের এক এক অবতারকে স্থান দিয়ে চলেছেন এক একটি রাখিতে। এই দশ অবতার রাখি সাদরে গ্রহণ করার অঙ্গীকার নিয়েছে বাঁকুড়া তথা বিষ্ণুপুরবাসি। মল্লরাজাদের ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখার ভাবনায় উচ্ছ্বসিত বিষ্ণুপুরবাসী।