এই জেলায় বৃষ্টির গুরুত্ব অপরিসীম। বৃষ্টির সঙ্গে নির্ভর করছে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন ফসল হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জল, ভৌম জলের স্তরের উচ্চতা, আমের ফলন ইত্যাদি। শুক্রবার রাতে ৮টা নাগাদ আচমকা বৃষ্টি নামে এবং সেই বৃষ্টির সঙ্গেই যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল বাঁকুড়ার কৃষক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: 'আমার স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়', 'যখন নীরবে'র অনিন্দ্যর লেখায় আতঙ্কে শহর
advertisement
আরও পড়ুন: বল্লভপুর থেকে প্রজাপতি, দোস্তজী থেকে চিনার পাতা, বাংলা ফিল্মফেয়ারে জয়ীদের তালিকা
বিগত বেশ কয়েকমাস ধরে এক ফোঁটাও বৃষ্টির মুখ দেখেনি বাঁকুড়া জেলা। সমগ্র জেলার ভৌম জলস্তর নেমে যায় অনেকটা। অধিকাংশ জায়গাতেই পাম্প বসাতে গিয়ে ব্যর্থ হতে হয়েছে অনেককেই। শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল বাঁকুড়ার মাটি। চাষের জল যোগান দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে সরকারি দফতরগুলিকে।
অপরদিকে চাষাবাদের এবং আম ফলনের জন্য প্রয়োজন ছিল বৃষ্টিপাতের। সেই বৃষ্টির সূচনা হল বাঁকুড়া জেলায়। তাহলে কি অবশেষে রেহাই পেল বাঁকুড়া জেলা? এই বৃষ্টি বাঁকুড়া জেলার আম ফলনের জন্য আশীর্বাদ, এমনটাই বলছেন জেলা উদ্যানপালন দফতরের ফিল্ড অফিসার সঞ্জয় সেনগুপ্ত। এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র আম নয়, মুসাম্বি লেবুর মতো যেসব ফল চাষ করতে জলের প্রয়োজন হয় সেইসব ফলনের জন্য এই বৃষ্টির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে। তাই আম ফলনের ভবিষ্যৎ কী, সেটা এখনও স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে আকস্মিক এই বৃষ্টিতে মুখে হাসি ফুটেছে বাঁকুড়ার মানুষের। ঠিক যেন শীতল জলবিন্দুর রূপ নিয়ে ঝর্ণা ধারায় ঝরেছে আশা। আর সেই আশাতেই বুক বেঁধে রয়েছেন কৃষকরা।
Nilanjan Banerjee