করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছিলেন পূর্ণিমা পালের ছেলে, পুত্রবধূ পছন্দ করতেন না। তারপরই বাস্তুহারা হন পূর্ণিমা পাল। আশ্রয় নেন শান্তি নীড়ে। এই শান্তিনীড়ে নতুন করে প্রাণ শক্তি পেয়েছেন তিনি। বাঁকুড়া পৌরসভা কর্তৃক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পৌর ও নগর উন্নয়ন দফতরের অধীনে SUDA এর আর্থানুকূলে, ফ্রেন্ডস অফ পুওর অ্যান্ড সোশ্যালি এবানডেন্ট নামক একটি এনজিওর তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে এই শান্তিনীড়ের পথ চলা। বাঁকুড়ারই এক সহৃদয় জনৈক সুনির্মল দত্ত তার ছেলের বছর আটের সৃজিত দত্তের জন্মদিনে আবাসিকদের মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করেন। পুত্র যেটা দেখবে সেটাই শিখবে এমনটাই মনে করছেন সুনীলমল বাবু। জনকল্যাণে যেন নিজেকে নিমজ্জিত করতে পারে সেই কারণেই এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
advertisement
মাথার উপর ছাদ আর কথা বলার মানুষ না থাকলে নিরাপত্তাহীনতা এবং একাকীত্ব গ্রাস করে নেয় যে কোনও প্রাণোচ্ছল প্রাণকে। তার মধ্যে বয়স বাড়লে শরীরে আসে অবক্ষয়, নতুন করে আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি থাকে না এই সময়। ফলে একলা খোলা রাস্তায় অথবা গাছের তলায় দিন যাপন করতে হয় পূর্ণিমা পালেদের। কিন্তু কথায় আছে এই জগত সংসারে রয়েছে ভালো-মন্দের ব্যালেন্স। এই রকম মানুষের জন্য আছে উঠে শান্তিনীড়। মুছে যায় নিরাপত্তাহীনতা মুছে যায় একাকীত্ব। হাতে হাত ধরে গল্প করতে করতে খেলার ছলে কেটে যায় পূর্ণিমা পালেদের দিন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





