ফলে চরম সমস্যায় ওই এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ২০১৮ সালের প্রবল বৃষ্টিতে এই সেতুটি ভেঙে যায় । তারপর দীর্ঘ চার বছর উত্তীর্ণ হলেও সেতুর সমাধানে এগিয়ে আসেনি জেলা প্রশাসন। এই সেতু যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নাটশালা, কাদাঘাটি সহ পাঁচ ছয়টি গ্রামের সাধারণ মানুষদের। তবে পূজোর আগে মাটি দিয়ে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করেন স্থানীয় প্রশাসন। তবে বর্ষা শুরুতেই সেই অস্থায়ী সেতু চলে যায় জলের তলায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সোনামুখী পৌরসভার সাফাই কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার শালী নদী থেকে
এভাবেই দীর্ঘ চার বছর ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন ওই এলাকার সাধারণ মানুষজন। ভাঙ্গা সেতুর উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের অভিযোগ তাদের অস্থায়ী সেতুটি ভগ্নপ্রায় অবস্থায় থাকায় তাদের গ্রামে কোনো বিপদ আপদে প্রবেশ করতে পারেনা অ্যাম্বুলেন্স এমনকি প্রবল বর্ষায় পড়ুয়ারা যেতে পারেনা স্কুল-কলেজে। জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে কোন সূরাহা মেলেনি। কোনও প্রয়োজনে গ্রামের বাইরে যেতে গেলে তাদের দশ থেকে বারো কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়।
আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনার আশঙ্কা! পৌরসভা থেকে বন্ধ করা হল কাঠের সেতুতে যাতায়াত
তাই বাধ্য হয়ে সোমবার মেজিয়া ব্লক আধিকারিক এর কাছে বিক্ষোভ দেখান তারা। তাদের কাতর আর্জি এই সেতু নির্মাণে অবিলম্বে জরুরী ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ করুক প্রশাসন। এই বিষয়ে মেজিয়া ব্লক আধিকারিক অনিরুদ্ধ ব্যানার্জি জানান যে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সমস্যার শীঘ্রই সমাধান করা হবে।
Joyjiban Goswami