গোবিন্দপ্রসাদ সিংহ, এই মানুষটির ও নেতাজির ঘনিষ্ট সম্পর্কের জালে কোথাও যেন আটকে গেছে বাঁকুড়া। দীপক কুমার অগ্নিহোত্রীর লেখা, 'গোবিন্দ দর্পণ'-এর ১২৬ নম্বর পৃষ্ঠায় স্পষ্ট লেখা আছে, ১৯২২ সালে প্রথম সাক্ষাৎ হয় গোবিন্দপ্রসাদ ও নেতাজির।
১৯৪০ সালে ২৮ এপ্রিল অমরকাননের উপর দিয়ে গঙ্গাজলঘাটিতে সভা করতে যান সুভাষ। অনেকে বলেন, অমরকানন মাঠের উপর দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সত্যিই নেতাজি এই মাঠে প্রবেশ করেছিলেন কিনা তা নিয়ে দ্বিমত আছে।
advertisement
১৯৪০ সালের ২৮ এপ্রিল বেলা ১১ টা নাগাদ ধিরুবাবু যখন নেতাজিকে নিয়ে রওনা হয়েছেন গঙ্গাজলঘাটির দিকে, তখন অমরকানন দেশবন্ধু বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ছুট লাগায় তাঁর ভাষণ শোনার জন্যে। সেই দৃশ্য দেখে নেতাজি গাড়ির গতি কমাতে বলেন এবং সভার সময় পিছিয়ে দেন। যাতে সকল ছাত্র তাঁর ভাষণ শুনতে পায়!
আরও পড়ুন: অরুনাচলে ঘুমন্ত অবস্থায় বাংলার তিন পরিযায়ী শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু
গোবিন্দ দর্পণে উল্লেখ আছে, ঠিক ওইদিনই দেশবন্ধু বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছিলেন নেতাজি। বলেছিলেন, "দেশবন্ধু বিদ্যালয় পরিদর্শন করিয়া বিশেষ আনন্দ লাভ করলাম। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের স্মৃতি রক্ষার্থে এই প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠিত হইতেছে। এই প্রচেষ্টার দ্বারা দেশের এবং দশের কল্যাণ হইবে বলিয়া বিশ্বাস। আশা করি জনসাধারণের নিকট হইতে এই প্রতিষ্ঠান সর্বদা সহানুভূতি ও সহায়তা লাভ করিবে। দেশবন্ধু বিদ্যালয় দিনের পর দিন উন্নতি লাভ করুক এই কামনা করি। এই প্রতিষ্ঠান দেশবন্ধু নামের মর্যাদা যেন সর্বদা রক্ষা করিতে পারে এবং দেশবন্ধুর জীবনের আদর্শকে যেন সাফল্য মণ্ডিত করিয়া তোলে।"
ঠিক এইভাবেই বাঁকুড়ার পুণ্যভূমি পূর্ণতা পায় নেতাজির পদধূলিতে। আজও নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি ২৩ জানুয়ারি সেজে ওঠে অমরকানন দেশবন্ধু বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি