ধান্দা গ্রামের এক চিলতে ভাঙ্গা টিনের বাড়িতে দিন গুজরান জীবনের পরিবারের। তাও অধিকাংশটাই ভেঙে গিয়েছে। বৃষ্টি হলেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে জল।ছোট বেলা থেকে দারিদ্রের অভাবের মধ্যে তাকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। বাড়ির মধ্যেই উনুনের গনগনে আগুনের তাপে পুড়তে পুড়তে প্রতিদিন মুড়ি ভাজেন জীবনের মা প্রতিমা পাত্র। আর সেই মুড়ি পুনিসোল এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন বাবা মদন পাত্র। আর এইভাবেই মুড়ি বিক্রি করে সংসার চলে জীবনদের। বাড়িতে রয়েছে জীবন জীবনের বাবা এবং মা। দিদির বিয়ে হয়ে গেছে। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অভাবের সংসারে যেনো এক উজ্বল নক্ষত্র জন্ম নিয়েছে তার নাম জীবন।
advertisement
তবে ছেলের এত ভালো সাফল্যর পরেও দুশ্চিন্তায় ভুগছে জীবনের গোটা পরিবার। এখন তাদের চিন্তা ছেলেকে এই আর্থিক অনুকুলের সাথে লড়াই করে পরবর্তীকালে পড়াবেন কীভাবে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই ছিল জীবনের একমাত্র প্রধান ভরসা। তাও আবার করোনার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় অনেকখানি সমস্যায় পড়তে হয়েছে জীবনকে।
এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর - অঙ্কে-৯৮, পদার্থ বিজ্ঞানে ৯১, জীবন বিজ্ঞানে ৯৪,ভূগোলে ৮০, বাংলাতে ৯৪, ইংরেজিতে ৮০, ইতিহাসে ৮৬।জীবন আর পাঁচটা ছেলের মত বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। কিন্তু পড়তে গেলে লাগবে অনেক খরচ। সেই খরচ যোগাবার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। দারিদ্রতা জীবনের পথে যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেই কারণে গোটা পরিবার চাইছে একটু সরকারি সাহায্য। সাহায্য পেলে হয়তো জীবন তার দেখা স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে নাহলে জীবনের মতো এক মেধাবী ছাত্রের এখানেই থমকে যাবে জীবনের স্বপ্ন।
JOYJIBAN GOSWAMI