বর্তমানে বাঁকুড়া থেকে হাওড়া আসতে হলে খড়গপুর হয়ে ঘুরে আসতে হয়। কারণ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম পর্যন্ত লাইন থাকলেও, হাওড়ার সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল না সেই লাইনের। অন্যদিকে পূর্ব রেলের হাওড়া-বর্ধমান লাইনে মশাগ্রামে স্টেশন রয়েছে। ফলে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এই মশাগ্রামে লাইন অথবা স্টেশন থাকলেও দুটির মধ্যে কোনও যোগ ছিল না। এলাকার সাংসদ সুভাষ সরকারের দাবি, পূর্ব রেল স্টেশনের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের লাইনের সংযোগ স্থাপন হতে চলেছে। আর এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে বাঁকুড়া থেকে যেকোনও ট্রেন মশাগ্রাম হয়ে সোজা হাওড়া পৌঁছে যাবে। যার ফলে বাঁকুড়ার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। এর ফলে বাঁকুড়াবাসীর যাতায়াতের সময় আর খরচ দুই-ই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ইনকাম ট্যাক্স অফিসার পরিচয় দিয়ে টাকা ছিনতাই! নতুন প্রতারণা চক্রের হদিশ
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া-মশাগ্রাম রেলপথ বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ হয়েছে। এবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বাঁকুড়া-মশাগ্রাম রেলপথ পূর্ব রেলের হাওড়া-মশাগ্রামের সঙ্গে মিশে যাবে। যার কারণে এই পথ দিয়ে ট্রেন যাতায়াত করলে কলকাতায় পৌঁছতে বাঁকুড়ার মানুষের অনেকটা সময় বেঁচে যাবে।
সরাসরি বাঁকুড়া থেকে হাওড়া পৌঁছনোর এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন বাঁকুড়ার মানুষ। এরমধ্যে রেলের কলকাতা জোনাল অফিসে তিনবার বৈঠক হয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে। গত বছরের শেষ দুই বৈঠকে যথাক্রমে ১৮ ফেব্রুয়ারি ও ৯ সেপ্টেম্বরের প্রধান আলোচ্য বিষয়ই ছিল বাঁকুড়া-মশাগ্রাম রেলপথকে পূর্ব রেলের বর্ধমান-হাওড়া রেলপথের সঙ্গে যুক্ত করা। সেই সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই কাজের জন্য ৩৮.১০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে। রেলের হাওড়া গতিশক্তি ইউনিট এই কাজ করবে। আগামী দশ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এই খবরে খুশি বাঁকুড়ার মানুষ। রেলযাত্রী ভরতচন্দ্র মণ্ডল, সামাদ দালালরা জানান, সরাসরি হাওড়া পৌঁছে যাওয়ার এই ব্যবস্থায় তাঁদের অনেকটাই উপকার হবে। এই লাইনে একাধিক ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি