বেশ কিছুক্ষণ জলে নামার পর তার দুই বন্ধু নদীর ঘাটে ফিরে এলেও শুভজিৎ ফেরেনি। নদীর জলের চোরা স্রোতে তলিয়ে যায় সে। তার দুই বন্ধু এবং স্থানীয়রা শুরু করে খোঁজাখুঁজি। বিষয়টি জানাজানি হতেই খবর দেওয়া হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে। সংশ্লিষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা দ্বারকেশ্বর নদীতে এসে উদ্ধার কাজে নামেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে চালু বাঁকুড়া-ময়নাপুর মেমু স্পেশাল ট্রেন
বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা বেশ কিছুক্ষণ নদীতে তল্লাশী চালিয়ে ঐ স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মৃতদেহটি উদ্ধার করে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের অ্যাম্বুলেন্সে করে বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। এইভাবে এক তরতাজা প্রাণ চলে যাওয়ায় এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃত শুভজিৎ ব্যানার্জীর বন্ধু সৌরভ দাস জানায় সে প্রথমে নদীর জলে নেমেছিল।
আরও পড়ুনঃ ৫০০টি হারানো মোবাইল উদ্ধার বাঁকুড়া জেলা পুলিশের
নদীতে খাল বেশি থাকায় সে তার আরও দুই বন্ধুকেও জলে নামতে বারণ করেছিল। বারণ সত্ত্বেও শুভজিৎ জলে নামে। তারপরেই ভাসতে ভাসতে অনেকখানি নদীর জলে যেতে হঠাৎই জলের মধ্যে ডুবে যায় সে। তারপর থেকেই খোঁজ মেলেনি শুভজিতের। তবে শুভজিৎ সাঁতার না জানার কারণেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে বন্ধুরা।
Joyjiban Goswami