এ এমন এক ভালবাসা যে মুষলধারে বৃষ্টিও বাধা দিতে পারেন না তাঁকে। সমগ্র বাঁকুড়া শহরে রাস্তার কুকুরের কাছে এই স্কুটি এবং স্কুটির চালক চুমকি ছেত্রী একপ্রকার হয়ে উঠেছেন সাক্ষাৎ দেবী।
প্রায় প্রতিমাসে নিজের পকেট থেকে কেনেন তিন কুইন্টাল চাল। আর সেই চাল দিয়েই তৈরি হয় সারমেয়র খাবার। কিন্তুুয়াডিজি থেকে ধীরে ধীরে মালপাড়া, ভৈরব স্থান হয়ে প্রতাপ বাগান এবং স্কুলডাঙ্গা। প্রতিদিন এই স্কুটিতে করে বড় একটি অংশ বিস্তারিতভাবে কভার করেন চুমকি ছেত্রী। চুমকির এই কাজ ভাল চোখে দেখেন না অনেকেই, তাই বারেবারে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। তবুও দমে না গিয়ে বুক ভরা সাহস নিয়ে বাঁকুড়ার পথ কুকুরকে মুখে খাবার তুলে দিতে বদ্ধপরিকর তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : বাড়ছে গাড়ি, যানজট এড়াতে ২০২৬-এর মধ্যে ৬ লেনের হবে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে
লাঞ্ছনা উপেক্ষা করে যদি কেউ অনুপ্রাণিত হয় সেটাই বড় পাওয়া, এমনটাই বলছেন চুমকি ছেত্রী। পৃথিবীর জল, মাটি এবং বাতাস এর উপর প্রত্যেকটি প্রাণীর সমান অধিকার। প্রত্যেকটি জীবেরই জীবনের মূল্য অপরিসীম। তাই বাঁকুড়ার চুমকি ছেত্রী চালিয়ে যাচ্ছেন জীবসেবা।
কিন্তু একা হাতে পারে উঠছেন না তিনি। প্রয়োজন আরও মানুষের, প্রয়োজন সাহায্যের হাত। তাহলেই হয়ত রাতের অন্ধকারের পল্লীসমাজের এই অবলা অতন্দ্র প্রহরীগুলি বেঁচে থাকবে দুমুঠো খেতে পেয়ে।
Nilanjan Banerjee