যতই সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু থাকুক না কেন আজও এই দেশে আদিবাসীরা সমাজের প্রান্তিক শক্তি হয়ে আছেন। তাঁদের পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনা শেখাটা আর্থিক, সামাজিক নানান কারণে আজও বেশ কঠিন। তাছাড়া ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বঞ্চনা তো আছেই। সব মিলিয়ে আদিবাসী ছেলেমেয়েদের জীবনের চলার প্রতিটি পদে এসে হাজির হয় একের পর এক বাধা। তা সত্ত্বেও এই বাধা জয় করে বহু আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রী আজ জীবনের পথে এগিয়ে চলেছে। আর তাদের এই এগিয়ে চলার পিছনে বড় অবদান থাকে মায়েদের।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার হাত ধরে শুরু, নন্দীগ্রামে থমকে যাওয়া রেল লাইনের কাজ নিয়ে নতুন আসার আলো
সেই কারণেই এমন দৃঢ়চেতা এবং লড়াকু আদিবাসী মায়েদের সংবর্ধনা জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষার প্রতিমন্ত্রী। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী সমাজের মারাং গুরু চাচু মার্শাল আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা বামুনাথ টুডু এবং তাঁর মা ছোটমনি টুডু।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মনি হেমব্রম। তাঁর কঠোর লড়াইয়ের জন্যই ছেলে ফেলারাম হেমব্রম আজ বাঁকুড়া উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাশ করে কানপুরে চাকরি করছেন। মনি হেমব্রমকে নিজের হাতে সংবর্ধনা দেঞ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন সুভাষ সরকার। টা বাকি আদিবাসী মায়েদেরও উদ্বুদ্ধ করবে বলে জানান তিনি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি