বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির স্কুল ইউনিটের সভাপতি প্রসূন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইউনিটের অন্য সদস্য শ্রী তারাপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী ছিলেন। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে এই দুজন তৃণমূল প্রার্থীই পরাজিত হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বাঁকুড়া শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি কেদারনাথ দে ও বিজেপি সমর্থক অমিত আলি প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূল বিজেপির এই জোট পরাজিত করে দুই তৃণমূল প্রার্থীকেই। গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নতুন কোন বিষয় নয়। রাজ্যজুড়ে তার দৃষ্টান্ত বহু কিন্তু এখন একটি বিশেষ প্রশ্নের মুখে সন্মুখীন হয়েছে বাঁকুড়া বাসী।
advertisement
আরও পড়ুন: 'সুমন ড্যামেজ কন্ট্রোলে' শুভেন্দুর উত্তর-অভিযান, অশনি সংকেত দেখছে বিজেপি!
প্রশ্নটা বুঝতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে এক বছর, এক বছর আগে বাঁকুড়া শহরের পৌরসভা নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে সেই দলেরই প্রাক্তন পৌর উপপ্রধান শ্রী দিলীপ আগরওয়াল মহাশয় প্রার্থী হন এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৎকালীন কাউন্সিলর অনন্যা রায় চক্রবর্তী নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান। কিন্তু ফলস্বরূপ তখন দেখা যায় যে নির্বাচনের পূর্বেই তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল দল তাদেরকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্ত তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫০ টাকাতেই কোটিপতি! এই নোটটি আপনার কাছে আছে? থাকলে মুহূর্তেই মালামাল
এখন প্রশ্ন একটাই, বর্তমানে বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে ১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি কেদারনাথ দের বিরুদ্ধে কি সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল দল? প্রশ্ন উঠেছে বাঁকুড়ার সাধারণ মানুষের মনে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁকুড়া সফরের ঠিক ১ সপ্তাহ আগে এই ঘটনা ঠিক কি ধরনের বার্তা বহন করবে তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
----Nilanjan Banerjee