ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই রয়েছে সাপ সংক্রান্ত বিভিন্ন জ্ঞান এবং প্রত্যেকেরই জানা রয়েছে সাপ ধরার কলা কৌশল। সাপ ধরে নিয়ে এসে সেই সাপ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে দূরের শহরাঞ্চলে ও গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে খেলা দেখায় এই কমলা ডাঙ্গার সাপুড়েরা। রোজগার ৫০ থেকে ৭০ টাকা মাত্র। তাতেই চলছে তাদের জীবন জীবিকা। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন অবস্থা। সন্ধ্যে নামলেই শুনশান হয়ে যায় গোটা গ্রাম। সন্ধ্যের নামার মতই গ্রামবাসীদের জীবিকাই নেমেছে অন্ধকার। সাপের খেলা দেখিয়ে আর চলছে না সংসার। এদিকে সাপের খেলা দেখানো ছাড়া অন্য কিছু বিকল্প জীবিকা নেই এমনটাই বলছেন গ্রামবাসীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গভীর রাতে ঘরে উঁকি দিল কে? টের পেতেই একী ঘটল মা ও ছেলের সঙ্গে! জানুন
আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে সাপুড়েদের সংখ্যা, কমতে শুরু করেছে সাপ ধরার উৎসাহ। এই গ্রামের আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে বিষধর খরিস এবং চন্দ্রবোড়া সাপ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাপ ধরতে সংকোচ বোধ করেন না গ্রামের সাপুরেরা কারণ এই বিষধর সাপগুলোই বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের ছেলেমেয়েদের। গ্রামের প্রবীণ সাপুড়ে রবি সরবেদিয়া জানান "আজ প্রায় চল্লিশ বছর ধরে সাপের খেলা দেখাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে সাপের খেলা দেখিয়ে চলছে না রুজি রোজগার। বংশানুক্রমিক ভাবে যারা সাপের খেলা দেখাতো আস্তে আস্তে তাদের ছেলেমেয়েরা বেছে নিচ্ছে বিকল্প জীবিকা। রম রমরমা নেই এই সাপ খেলার"
Nilanjan Banerjee