মৃত ওই ব্যক্তির পরিবারের তরফে জানা যায় বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মন্টু পোড়েল নামে ওই ব্যক্তিকে বুকে এবং পেটে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় কোতুলপুর গোগড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেভর্তি করা হয়। তবে ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেই সময় কোনো ধরনের পরীক্ষা না করেই হাসপাতালের তরফে মন্টু পোড়েল নামে ওই ব্যক্তিকে সাপে কামড়ানোর চিকিৎসা করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। ওই ব্যক্তিকে সাপে কামড়ানোর চিকিৎসার ফুল ডোজ ২০ টি এ.ভি.এস দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সময় যত ঘনীভূত হয় তখন অবস্থার অবনতি হয়ে থাকে মন্টু পোড়েলের। অবশেষে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে দুপুর ১১ টা নাগাদ অবস্থার অবনতি দেখে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বাঁকুড়া নিয়ে যাবার পথেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারপরেই কোতুলপুরের গোগড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই হাসপাতালে পৌঁছয় কোতুলপুর থানার পুলিশ। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কোতুলপুর থানার পুলিশ। পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
advertisement
আরও পড়ুন: অতি ভক্তি কি চোরের লক্ষণ ! শেওড়াফুলির দুর্গা পুজোর সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল ! দেখুন কী হল!
তবে মৃতের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে মন্টু পোড়েল নামে ওই ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় মন্টু পোড়েলকে সাপে কামড়ায়নি, তবুও তাকে এ.ভি.এস ইঞ্জেকশান দেওয়া হয়েছিল। সরকারি হাসপাতালে কীভাবে কোনও শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াই ভুল চিকিৎসা করা হল সেই নিয়েও ইতিমধ্যে প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতলে চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসা জেরেই এই অকালমৃত্যু বলে মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিবার এবং গ্রামের বাসিন্দারা চাইছেন সরকারি হাসপাতালে যারা এই ভুল চিকিৎসা করেছেন তাদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক।
জয়জীবন গোস্বামী