আরও পড়ুনঃ থার্মোকলের কার্টন দিয়ে তৈরি ঘরেই থাকার জায়গা! এই পরিবারের কষ্টের কাহিনী চোখে জল আনবে
বাঁকুড়ার খাতড়ার বৈদ্যনাথপুর অঞ্চলের কাদড়া গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ সরদার সোমবার সকালে খাতড়ার আড়কামার একটি লটারিকাউন্টার থেকে ষাট টাকা মূল্যের টিকিট কেনেন। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যে ভাগ্য খুলে যায় তাঁর। টিকিট কিনে বাড়ি ফেরার পর ওই দিন বিকেলে জানতে পারেন তাঁর কাছে থাকা টিকিটেই এক কোটি টাকা উঠেছে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন আনন্দ সরদার। তবে, ততক্ষণে তার কোটিপতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ফলে খাতড়া থানার পুলিশ তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়।
advertisement
সন্ধ্যায় থানায় এসে আশ্রয় নেন তিনি। আপাতত খাতড়া থানায় অস্থায়ী আস্তানা হয়ে উঠেছে সদ্য এই কোটিপতির। ‘কোটিপতি’ আনন্দ সরদার বলেন, ‘বাড়িতে মা, বাবা ছাড়াও স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। স্থানীয় একটি কাঠের চেরাই মিলে দিন মজুরের কাজ করেন তিনি। মাঝে মাঝে টিকিট কাটেন।’
সোমবার গ্রাম বাংলায় জনপ্রিয় রোহিনী উৎসব থাকায় ওই দিন সকালে একটি টিকিট কাটেন ষাট টাকা দিয়ে। তারপরেই ওই লটারি কাউন্টার থেকে ফোন করে জানানো হয় তিনি কোটিপতি হয়েছেন। আগামী দিনে এই বিপুল পরিমান টাকা নিয়ে কী করবেন ভেবে উঠতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী