মুগডালকে প্রথমে গুঁড়ো করে নেওয়া হয় ৷ খোয়া ক্ষীরের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় মণ্ড ৷ এটিকে বানানোর পর রসে ফেলে দেওয়া হয় ৷ তবে ফোটানো হয় না ৷ রসে ফেলেই তুলে নেওয়া হয় ৷ ব্যাস, এভাবেই কয়েকশো বছর ধরে মিষ্টিপ্রেমীদের রসনা তৃপ্তি করে আসছে বেলিয়াতোড়ের মেচা ৷ বর্তমানে এর দাম পাঁচ টাকা থেকে দশ টাকার মধ্যে ৷
advertisement
প্রসঙ্গত বেলিয়াতোড়ের মেচা প্রস্তুতকারকদের মতে মেচার ইতিহাস প্রায় দু'শো বছরের প্রাচীন। জানা যায় বিষ্ণুপুরের মল্লরাজের দেওয়ান রাজার কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন বেলিয়াতোড়ের জমিদারি। সেই সময়ে বেলিয়াতোড়ে প্রথম মেচা তৈরী হয়। তবে এই মেচা বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মত প্রকাশিত হয়। কেউ কেউ বলেন বেলিয়াতোড়ে ধর্মরাজের প্রসাদের জন্য এই মেচার আবিষ্কার হয়েছিল আবার কেউ কেউ বলেন বেলিয়াতোড়ে রাজাদের মোহনভোগ করার জন্য নিত্য নতুন প্রসাদ বিতরণ হত। তখন এই বেলিয়াতোড়ের যারা আদি ময়রা সম্প্রদায়ের মানুষজন রয়েছেন তারাই প্রথম রাজাদের দেওয়ার জন্য এই মেচা তৈরি করেছিলেন।
তবে রসিক বাঙ্গালীদের সুস্বাদু মিষ্টি এই মেচা সন্দেশ। বেলিয়াতোড় এর এই মেচা বাঁকুড়া জেলা ছাড়িয়ে এখন দেশ-বিদেশেও নাম অর্জন করেছে । ইতিমধ্যেই বেলিয়াতোড়ের মেচা ব্যবসায়ীরা তাদের এই দুশো বছরের পুরোনো বিখ্যাত মেচা জিআই স্বীকৃতির আবেদন জানিয়েছেন l এখন তাদের সময়ের অপেক্ষা কখন এই মেচা জিআই স্বীকৃতির অন্তর্ভুক্ত হয়।
জয়জীবন গোস্বামী